সিলেট মিরর ডেস্ক
নভেম্বর ১৮, ২০২৫
০৫:২২ অপরাহ্ন
আপডেট : নভেম্বর ১৮, ২০২৫
০৫:২৭ অপরাহ্ন
হাসপাতালের কর্মচারীকে মারধরের প্রতিবাদে সুনামগঞ্জে মানববন্ধন
সুনামগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালের এক কর্মচারীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। এ সময় আন্দোলনকারীরা আজ সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও আইনের আওতায় আনা না হলে বুধবার (১৯ নভেম্বর) সকালে দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দেন।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও জুবায়ের হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন- ডা. বিষ্ণ প্রসাদ চন্দ, ডা. অলক সাহা, ডা. শফিকুল ইসলাম, সিনিয়র স্টাফ নার্স (গাইনী) আমেনা আক্তার, মোহাম্মদ সাদেক হোসেন, আফজালুর রহমান প্রমুখ।
গতকাল সোমবার সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে সিরিয়াল ভেঙে এক রোগীকে এক্সরে রুমে নেওয়ার চেষ্টা করেন তার স্বজনরা। সুযোগ না দেওয়ায় পিয়াল হোসেন নামে হাসপাতালের কর্মচারীকে মারধরের করা হয়। ঘটনার পর পিয়াল বাদী হয়ে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে পৌর শহরের হাসননগরের বাসিন্দা আপ্তাব উদ্দিনের দুই ছেলে ফরহাদ ও শিমুলকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
বক্তারা জানান, হাসপাতালের একটি রুমে ঢুকে কর্মীর ওপর হামলার ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। কোনো সরকারি কর্মচারীর গায়ে হাত তোলার অধিকার কারো নেই। নিরাপত্তা চরম হুমকির মুখে দাবি করে বক্তারা চিকিৎসক-কর্মচারীদের সুরক্ষা আইন বাস্তবায়নের দাবি জানান। তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে জানান, আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা না হলে তারা কর্মবিরতির মতো কঠোর কর্মসূচি পালন করবেন।
মারধরের শিকার পিয়াল হোসেন বলেন, এক্সরে রুমে ১৫টা সিরিয়াল ছিল, অভিযুক্তরা পরে এসে বলেন আগে সিরিয়াল দেওয়া লাগবে। আমি বলছিলাম পরবো না। সিরিয়াল আগে না দেওয়ার কারণে আমার ওপর হামলা করছে এবং হত্যার হুমকি দিয়ে গেছে। একাধিক এক্সরে করি, এত সেবা দেই তাও আমাকে মার খেতে হল। আমি সঠিক বিচার চাই।
হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. অলক সাহা বলেন, পুলিশের কাছে আমরা এহাজার দিয়েছি, এখন পর্যন্ত কাউকে তারা ধরতে পারেনি। প্রশাসন আমাদের আশ্বস্ত করেছে, আজকে দিনের মধ্যেই অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হবে। সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে যদি অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা না হয়, তাহলে আমরা আগামীকাল বুধবার (১৯ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করব। পাশাপাশি জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেব।
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক অফিসার ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, গতকাল এক্সরের রুমে যে ঘটনা ঘটেছে তাতে আমরা মর্মাহত। বিশেষ করে আমাদের এখানকার ডাক্তার-নার্স বিভিন্ন স্টাফরা দ্রুত বিচার চান। এখানে কর্মপরিবেশ ভালো রাখার জন্য দাবি করে আসছি, আমাদের এখানে আনসার বা অন্য কোনো ফোর্স দেওয়া হোক।
জিসি / ০৬