ধর্মপাশায় তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার সাংবাদিক

ধর্মপাশা প্রতিনিধি


নভেম্বর ১৯, ২০২০
০২:৫২ পূর্বাহ্ন


আপডেট : নভেম্বর ১৯, ২০২০
০২:৫২ পূর্বাহ্ন



ধর্মপাশায় তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার সাংবাদিক

মানববন্ধনের তথ্যাদি সংগ্রহ করতে গিয়ে উপজেলা যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের হামলার শিকার হয়েছেন দৈনিক গণকণ্ঠ ও স্থানীয় দৈনিক সুনামগঞ্জ প্রতিদিনের ধর্মপাশা উপজেলা প্রতিনিধি মোবারক হোসেন (৩৭)। উপজেলা যুবলীগ নেতা তরিকুল ইসলাম পলাশ, উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান বাবর ও ছাত্রলীগ নেতা তাসিনুল হক রাফির নেতৃত্বে আজ বুধবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে দুই দফায় এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। 

হামলায় আহত ওই সাংবাদিক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ঘটনায় ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছে বুধবার বিকেলে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন তিনি।

আহত সাংবাদিক মোবারক হোসেন জানান, ধর্মপাশা উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কে বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-সম্পাদক শামীম আহমেদ মুরাদ ও বাংলাদেশ মৎস্যজীবী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রেজুয়ান আলী খান আর্নিকের বিরুদ্ধে এক নারীকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ওই দুই নেতার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনের ছবি, ভিডিও ও বক্তব্য সংগ্রহ করতে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সেখানে যান মোবারক। এ সময় ওই সাংবাদিক বেশকিছু ছবি ও ভিডিও মুঠোফোনে ধারণ করেন এবং মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী দুই নারীর কাছে মানববন্ধনে কেন এসেছেন এ নিয়ে বক্তব্য জানতে চান। তবে তারা কোনো জবাব দিতে পারেননি। এ ঘটনা দেখে তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন সেখানে থাকা যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী।

একপর্যায়ে উপজেলা যুবলীগ নেতা তরিকুল ইসলাম পলাশ, উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান বাবর ও ছাত্রলীগকর্মী তাসিনুল হক রাফিসহ ৭-৮ জন দুপুর ১২টার দিকে মানববন্ধনস্থলে মোবারকের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাকে মারধর করেন। মানববন্ধনে থাকা পুলিশের হস্তক্ষেপে তিনি প্রাণে রক্ষা পান। বেলা সোয়া ১২টার দিকে ওই সাংবাদিক পুলিশের নিরপত্তার মধ্যে মানববন্ধনসংলগ্ন একটি চায়ের স্টলে বসেছিলেন। সেখানে পুলিশের উপস্থিতিতেই প্রথমবার হামলাকারীরা আরও লোকজন নিয়ে সংগঠিত হয়ে দ্বিতীয়বারের মতো মোবারকের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে আহত করে। 

হামলার ঘটনা প্রসঙ্গে উপজেলা যুবলীগ নেতা তরিকুল ইসলাম পলাশ সাংবাদিকদের বলেন, 'ওই সাংবাদিক ছবি ও ভিডিও ধারণ করার পাশাপাশি মানববন্ধনে অংশ নেওয়া কয়েকজন নারীকে উল্টাপাল্টা প্রশ্ন করে বিব্রত করার চেষ্টা করেছিলেন। ওই সাংবাদিকের ওপর উপজেলা যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে তাকে আহত করার অভিযোগটি মিথ্যা ,বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।'

ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, 'এ ঘটনায় থানায় পৃথক দু'টি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

 

এসএ/আরআর-১২