গ্রেপ্তারকৃত সকল নেতাকর্মীর অবিলম্বে মুক্তি দাও: বজলুর রশীদ ফিরোজ

নিজস্ব প্রতিবেদক


নভেম্বর ০৫, ২০২৫
০৮:১৮ অপরাহ্ন


আপডেট : নভেম্বর ০৫, ২০২৫
০৮:১৮ অপরাহ্ন



গ্রেপ্তারকৃত সকল নেতাকর্মীর অবিলম্বে মুক্তি দাও: বজলুর রশীদ ফিরোজ


সিলেটে ‘ব্লক রেইড’ দিয়ে বাসদ কার্যালয় থেকে ২২ জন নেতাকর্মীকে এবং সিপিবি নেতা অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন সুমনসহ ১৫ জনকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ও নিঃশর্ত মুক্তি এবং বাসদ সিলেট আহ্বায়ক আবু জাফর ও সদস্য সচিব প্রণব জ্যোতি পালের উপর থেকে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে  সিলেটের বাম রাজনৈতিক দল ও সংগঠন সমূহের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় ।

আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) সকাল ১১টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বাসদ (মার্ক্সবাদী) জেলা সমন্বয়ক সঞ্জয় কান্ত দাশ এর সভাপতিত্বে ও বাসদ জেলা সদস্যসচিব প্রণব জ্যোতি পালের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য দেন বাম গণতান্ত্রিক জোট কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক, বাসদ   কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ।

বিক্ষোভ সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ  কাফি রতন, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য নজরুল ইসলাম,বাসদ (মার্কসবাদী)  কেন্দ্রীয় নির্বাহী ফোরামের সদস্য অ্যাডভোকেট শফিউদ্দিন কবীর আবিদ, সাম্যবাদী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সদস্য সুশান্ত সিনহা সুমন, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফাহিম আহমদ চৌধুরী।


জেলা নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিপিবি সভাপতি সৈয়দ ফরহাদ হোসেন, বাসদ জেলা আহ্বায়ক আবু জাফর, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের জেলা সম্পাদক সিরাজ আহমদ, প্রমূখ।

বিক্ষোভ সমাবেশে কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ, ‘দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনে সারা দেশে মানুষ বিপর্যস্ত ছিল। তৎকালীন ফ্যাসিবাদী সরকার নানা অজুহাতে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে যখন-তখন পুলিশী অভিযান পরিচালনা করে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করতেন। গত ’২৪-এর ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদী শাসনের পতন হলেও সেই ফ্যাসিবাদী সরকারের মতোই বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পুলিশবাহিনী সিলেট বাসদ  জেলা কার্যালয়ে ব্লক রেইড দিয়ে পাঠচক্র চলাকালীন ২২ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে। এর আগের দিন সিপিবি নেতা অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন সুমনকে তাঁর নিজ বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করে। এটি কোনভাবেই প্রত্যাশিত নয়।’

তিনি আরো বলেন, ‘তাদের অপরাধ তারা রিকশা শ্রমিকদের রুটিরুজির প্রশ্নে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। যে রিকশা শ্রমিকসহ বিভিন্ন সেক্টরের শ্রমজীবী মানুষ ফ্যাসিবাদী হাসিনা উচ্ছেদের গণ-আন্দোলনে ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করেছে এবং সর্বোচ্চ সংখ্যায় জীবন দিয়েছে। তারা অভ্যুত্থানের সময় আহতদের জীবন বাঁচাতে রিকশা ও ব্যাটারিচালিত রিকশাকে অ্যাম্বুলেন্স বানিয়েছিল।’

তিনি হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃখজনক ব্যাপার অভ্যুত্থান পরবর্তী সরকার আজ এই গরীব শ্রমজীবী মানুষের রুটিরুজির পথ বন্ধ করে দিয়েছে। সিলেটের পুলিশ প্রশাসন রিকশা চালকদের রাস্তায় নামতে দিচ্ছে না। পেশা হারিয়ে তারা এখন অর্ধাহারে-অনাহারে পরিবার পরিজন নিয়ে অত্যন্ত দুর্বিসহ জীবন যাপন করছে। এমনিতেই দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে মানুষের জীবন বিপন্ন, কৃষি অর্থনীতি ধ্বংস প্রায়, শত শত কারখানা বন্ধ, ফলে জীবিকার একমাত্র পথ রিকশা চালানো ছাড়া আর কোন পথ তাদের সামনে খোলা নেই।’

নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে, সিলেটে ব্লক রেইড দিয়ে বাসদ  কার্যালয় থেকে গ্রেফতারকৃত ও সিপিবি জেলা সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন সুমন এর নিঃশর্ত মুক্তি এবং বাসদ জেলা আহ্বায়ক আবু জাফর, সদস্য সচিব প্রণব জ্যোতি পাল সহ সকল শ্রমিক নেতৃবৃন্দের উপর থেকে হয়রানিমূলক মামলা  প্রত্যাহারের আহ্বান জানান ।


এএফ/০৩