শামীম আহমদ, বালাগঞ্জ
অক্টোবর ২২, ২০২০
০১:২০ পূর্বাহ্ন
আপডেট : অক্টোবর ২২, ২০২০
০১:২০ পূর্বাহ্ন
সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার বাজারের রাস্তার পুরাতন থানার সম্মুখ অংশ ডোবায় পরিণত হয়েছিল। বিগত কয়েক বছর ধরে বাজারের রাস্তার এই অংশ সংস্কার না হওয়ায় মানুষের ভোগান্তির অন্ত ছিল না। অল্প বৃষ্টিতে হাঁটু সমান জলজটের সৃষ্টি হতো। কাদা আর জলজটের বিষাক্ত পানি মাড়িয়ে কাপড় ভিজিয়ে মানুষকে চলাচল করতে হতো। এ নিয়ে সাধারণ মানুষ ও বাজারের ব্যবসায়ীরা ক্ষুব্ধ ছিলেন। বালাগঞ্জ বাজারের রাস্তার ডোবা অংশের পাশেই রয়েছে মদন মোহন কমপ্লেক্স, পূবালী ব্যাংকের শাখা, ডাকঘর, সাব-রেজিস্ট্রার অফিস, বালাগঞ্জ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, কাজী অফিসসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। বর্ষা মৌসুমে রাস্তায় জলজটের কারণে পথচারীরা ছিলেন নাকাল। যানবাহন চলাচলেও মারাত্মক বিঘ্ন সৃষ্টি হতো। ছোটখাটো দুর্ঘটনাও ঘটত। ব্যবসায়ী ও সর্বস্তরের মানুষ বাজারের রাস্তার এই ডোবা অংশ সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এই দাবির প্রেক্ষিতে অবশেষে রাস্তার এই অংশে আরসিসি ঢালাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে।
বালাগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলীর অফিস সূত্রে জানা গেছে, বালাগঞ্জ বাজারস্থ রাস্তার ডোবা অংশ সংস্কারের জন্য ৪৫ লাখ টাকা ব্যয় নির্ধারণ করে একটি প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। প্রকল্প প্রস্তাবটি অনুমোদনের পর উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলীর অফিসের তত্ত্বাবধানে আরসিসি ঢালাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে।
এ বিষয়ে বালাগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী এস আর এম জি কিবরিয়া বলেন, 'আমি এখন ঢাকায় প্রশিক্ষণে আছি। প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানোর পর সংস্কার কাজের জন্য কত টাকা বরাদ্দ এসেছে তা এখন সঠিকভাবে বলতে পারব না। পরে বলতে পারব।'
এদিকে দীর্ঘদিন পর রাস্তার ডোবা অংশে সংস্কার কাজ শুরু হওয়ায় বাজারের ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। বালাগঞ্জ বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে নিয়মিত নামাজ আদায়কারী মুসল্লিরা বলেন, মসজিদের সামনের রাস্তায় পানি জমে থাকায় আমাদের খুব কষ্ট হতো। দীর্ঘদিন পর রাস্তায় কাজ শুরু হয়েছে দেখে খুশি লাগছে।
বালাগঞ্জ বাজার বণিক সমিতির সভাপতি মো. জুনেদ মিয়া বলেন, 'রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের জন্য সবাই দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এ বিষয়ে বণিক সমিতি ও আমার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেছি, কথা বলেছি। রাস্তার সংস্কার কাজ শুরু হওয়ায় আমারও ভালো লাগছে।'
এসএ/আরআর-১০