খেলা ডেস্ক
মে ০৯, ২০২০
০১:০৭ অপরাহ্ন
আপডেট : মে ০৯, ২০২০
০১:০৭ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে আনুষ্ঠানিক অবসর না নিয়ে মনের দুঃখে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী হয়েছেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। শুরুতে অস্ট্রেলিয়ায় কোচিংয়ের ওপর পড়াশোনা করেছেন। মাঝে একবার দেশে এসে ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটে আবাহনীকে কোচিং করিয়েছেন। তার প্রশিক্ষণে আবাহনী লিমিটেড প্রিমিয়ার ক্রিকেটের শিরোপাও জিতেছিল। কিন্তু ১৬ মাস দেশে থেকে আবার ফিরে গেছেন। তারপর নিজেকে অন্যভাবে গড়ে তোলা।
এখন আমিনুল ইসলাম বুলবুল আইসিসির গেম ডেভলপমেন্ট ম্যানেজার। এশিয়ার ক্রিকেট উন্নতি, অগ্রগতি নিয়ে সারাবছর কাজ করেন। অনেক বড় বড় ক্রিকেট বোদ্ধা, বিশেষজ্ঞও তার সঙ্গে ক্রিকেটের অনেক খুঁটিনাটি আর সূক্ষ্ম বিষয় নিয়ে কথা বলেন। বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক, দেশের অভিষেক টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান আমিনুল ইসলাম বুলবুল এখন বিশ্ব ক্রিকেটের পরিচিত ব্যক্তিত্ব।
ঘরের ছেলে বুলবুলের মত এমন প্রতিভাবান, ক্রিকেট কোচিংয়ের খুটিনাটি ও সূক্ষ্ম বিষয়ে ভাল জানা-শোনা কোচ থাকতে কেন বারবার বিদেশি ক্রিকেট কোচ আনা? তাকে জাতীয় দলের দায়িত্ব দিলে কী হয়? এ প্রশ্ন আগেও উঠেছে বহুবার। বুলবুল বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িত হতে চান কি না? ক্রিকেট বোর্ড তাকে একটা মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে অধিষ্ঠিত করতে আগ্রহী কি না? তা নিয়েই আসলে সংশয় ছিল।
আচ্ছা, আইসিসির গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করা আমিনুল বুলবুল কি সেখানকার গেম ডেভলপমেন্ট ম্যানেজার হিসেবেই কাজ করতে বেশি আগ্রহী? তিনি কি দেশের ক্রিকেটের সঙ্গে নিজেকে জড়াতে চান? দায়িত্ব দিলে তিনি কি দেশে জাতীয় দলকে কোচিং করাবেন?
বৃহস্পতিবার ক্রীড়া সাংবাদিক নোমান মোহাম্মদের সঙ্গে ফেসবুক লাইভে বুলবুল ক্রিকেট ভক্তদের কৌতূহলি প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন। বুলবুল অনেক কথার ভিড়ে পরিস্কার বুঝিয়ে দিয়েছেন, দেশের জন্য তার মন কাঁদে। তিনি সুযোগ পেলে দেশের ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িত হতে আগ্রহী এবং জাতীয় দলের কোচ হিসেবে কাজ করতেও ইচ্ছুক। তার আগে বিসিবির কাছ থেকে একটা পাকাপোক্ত প্রস্তাবের আশায় বুলবুল।
ফেসবুক লাইভে নোমান মোহাম্মদের এক প্রশ্নের জবাবে বুলবুল বোঝানোর চেষ্টা করেন, তিনি যে দেশে কোচিং করাতে চান বা চেয়েছেন, তার প্রমাণও আছে। অস্ট্রেলিয়া থেকে ২০০৬ সালে তিনি দেশে ফেরত এসেছিলেন এক বুক আশা নিয়ে। তখন তিনি সেখানে রীতিমত কোচিং করাতে শুরু করেছেন।
হঠাৎ মনে হয়েছিল দেশে গিয়ে কোচিং করাই। সেই দেশের মাটিতে কাজ করার ইচ্ছে থেকেই এসেছিলেন দেশে। ১৬ মাস থেকে আবাহনীর হয়ে কোচিং করিয়েছিলেন। কিন্তু তখন দেশের ক্রিকেট বোর্ড থেকে কোনরকম প্রস্তাব মেলেনি। তারপর আবার অস্ট্রেলিয়া ফিরে যাওয়া এবং আপন মনে কাজ করা।
এআরআর/০৬