তাহিরপুরে বালু উত্তোলন, হুমকির মুখে বিদ্যালয় ও বসতঘর

তাহিরপুর প্রতিনিধি


এপ্রিল ০৫, ২০২০
০৩:৪১ পূর্বাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ০৫, ২০২০
০৩:৪১ পূর্বাহ্ন



তাহিরপুরে বালু উত্তোলন, হুমকির মুখে বিদ্যালয় ও বসতঘর

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বড়দল (দক্ষিণ) ইউনিয়নের জানখালি নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রয় করার কারণে হুমকির মুখে পড়েছে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও এর পার্শ্ববর্তী বসতভিটা। বালু উত্তোলনের এমন অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক যুবলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে। 

স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলার বড়দল (দক্ষিণ) ইউনিয়নের হলহলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের জানখালি নদী থেকে একই গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে ও দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আমির আলী সরকারের ছোট ভাই ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মুক্তার মিয়া (৩০) স্থানীয়দের বাধা উপেক্ষা করে সরকারি দলের প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে গত একমাস যাবত বালু উত্তোলন করে বিক্রয় করে আসছেন। 

স্থানীয়রা জানান, ড্রেজারের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করার কারণে হুমকির মুখে পড়েছে হলহলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ নদীর দুইপাড়ের প্রায় ১৫/২০টি বসতঘর। বালুখেকো মুক্তার মিয়া স্থানীয় যুবলীগ সভাপতি হওয়ায় গত একমাস ধরে নদী থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে এলেও তার বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস পাচ্ছে না কেউ।

হলহলিয়া গ্রামের কুদ্দুস মিয়া বলেন, আমার বসতঘরের সামনে থেকে ড্রেজার দিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছেন স্থানীয় যুবলীগ সভাপতি মুক্তার মিয়া। এর প্রতিবাদ করলে চলে অত্যাচার আর নির্যাতন। সে প্রকাশ্যে হুমকি দেয় মামলা দিয়ে গ্রামছাড়া করবে আমাকে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ড্রেজার মালিক দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মুক্তার মিয়া ড্রেজার দিয়ে জানখালি নদী থেকে বালু উত্তোলনের বিষয়টি স্বীকার করে এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ না করার অনুরোধ জানান এবং প্রতিবেদকের সঙ্গে সরাসরি দেখা করার সুযোগ চান।

তাহিরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বিজেন ব্যানার্জী বলেন, বিষয়টি আমি অবগত ছিলাম না। যদি কেউ ড্রেজার দিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলন করে থাকে, তাহলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।