তাহিরপুর প্রতিনিধি
এপ্রিল ০৪, ২০২০
০২:১৩ পূর্বাহ্ন
আপডেট : এপ্রিল ০৪, ২০২০
০২:১৩ পূর্বাহ্ন
ঢাকার গাজীপুরের একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে চাকরি করতেন সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার মাহতাবপুর গ্রামের কফিল উদ্দিনের ছেলে জহিরুল (২২)। গত সপ্তাহখানেক ধরে তিনি জ্বর, সর্দি ও কাশিতে ভুগছিলেন এবং সেখানে একটি হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় গত বুধবার সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়। এ খবর নিশ্চিত করেছে তার পরিবার।
জ্বর, সর্দি, কাশিতে মৃত জহিরুলকে তার নিজ গ্রাম তাহিরপুর উপজেলার মাহতাবপুর গ্রামের গোরস্থানে বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে দাফন করা হয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, জহিরুলের মরদেহ গাজীপুর থেকে তার গ্রামে নিয়ে আসেন সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের বালুচর গ্রামের কুলসুমা (২৬) ও মালিক উস্তার (১৬)। এ খবর পেয়ে তাহিরপুর থানার পুলিশ ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকগণ মাহতাবপুর গ্রামে যান। জহিরুলকে যারা গাজীপুর থেকে বাড়িতে নিয়ে আসেন এবং মরদেহের গোসলের কাজে যারা জড়িত ছিলেন- এমন ৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যাদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার জন্য বলা হয়েছে তারা হলেন- জহিরুলের পিতা কফিল উদ্দিন (৫০), মা তাসলিমা (৩৫), স্বজন আব্দুল মনাফ (৭৫), আবুল বাদশা (৩৫) এবং গাজীপুর থেকে লাশ নিয়ে আসা কুলসুমা (২৬) ও মালিক উস্তার (১৬) সহ আরও একজন।
তাহিরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বিজেন ব্যানার্জী বলেন, সংবাদটি জানার পরই তৎক্ষণাৎ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইউএইচএফপিও ও তাহিরপুর থানার ওসিকে অবহিত করি।
তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইউএইচএফপিও ডা. ইকবাল হোসেন জানান, তিনি ঢাকায় সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তারা নির্দেশনা দিয়েছেন, যারা ঢাকা থেকে লাশ নিয়ে এসেছেন এবং মরদেহের গোসলের কাজে জড়িত ছিলেন, তাদের সবাইকে আগামী দুই সপ্তাহ হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।