নিজস্ব প্রতিবেদক
নভেম্বর ২২, ২০২৩
০৪:৩৪ পূর্বাহ্ন
আপডেট : নভেম্বর ২২, ২০২৩
০৪:৪৬ পূর্বাহ্ন
সিলেটে নিজ দলের প্রতিপক্ষ গ্রুপের ছুরিকাঘাতে আরিফ আহমদ (১৯) নামে এক ছাত্রলীগকর্মী নিহত হয়েছেন। নিহত আরিফকে বিদেশ পাঠাতে চেয়েছিলেন তাঁর মা। সেজন্য পাসপোর্টও বানাতে দিয়েছিলেন। কিন্তু পাসপোর্ট হাতে আসার আগেই ছেলে পাড়ি জমিয়েছে না ফেরার দেশে। সেই কথা বলতে বলতে হাহাকার করছিলেন মা আখি বেগম।
আজ মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) বাদ আসর সিলেট নগরের বালুচর এলাকায় ছাত্রলীগ কর্মী আরিফের জানাজা শেষে লাশ যখন নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তখন তাঁর মায়ের আহাজারিতে সেখানকার বাতাস ভারি হয়ে উঠে।
আহাজারি করতে করতে তিনি বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চাই। আমি এক গরীব মা। আমার বুক থেকে আমার সন্তানকে আজ কেড়ে নিয়ে গেল। আমার বড় সন্তান। বড় আদর করে মানুষ করেছিলাম।’
ছেলেকে নিয়ে নিজের স্বপ্নের কথা জানিয়ে বলেন, ‘ওর বাবা রিকশা চালিয়ে চালিয়ে তারে লেখাপড়া শিখাইছে। বিদেশ পাঠামু স্বপ্ন ছিল। পাসপোর্ট-টার্সপোর্ট সব করতে দিছি আমি। পাসপোর্ট তারে কই নিয়া গেল।’
পাশে থাকা প্রতিবেশী নারীকে উদ্দেশ্য করে এ সময় বলেন, ‘কোন জায়গার পাসপোর্ট ছেলেরে কইরা দিলাম বইন (বোন)। আমি পার্সপোর্ট কইরা দিছি কি কবরের?’
সিলেট মহানগর পুলিশের বিমানবন্দর থানার ওসি মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন বলেন, ‘দুইজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকিদের আটকে পুলিশ কাজ করছে।’
এএফ/১০