সিলেটে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত

নিজস্ব প্রতিবেদক


নভেম্বর ০৭, ২০২৫
০৭:৪২ অপরাহ্ন


আপডেট : নভেম্বর ০৭, ২০২৫
০৭:৪২ অপরাহ্ন



সিলেটে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত


সিলেটে যথাযোগ্য মর্যাদায় ও আনুষ্ঠানিকতায় ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত হয়েছে।

আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দিবসটি উপলক্ষে নগরে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও র‌্যালি পূর্ব সংক্ষিত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের দুই উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির ও আরিফুল হক চৌধুরীসহ দলের বিভিন্নস্থরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আজ বিকাল ৪টায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে সিলেট নগরের কোর্ট পয়েন্টে থেকে বিশাল র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি নগরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।

র‌্যালিপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির। প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী।

সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিলেট-৩ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী এম এ মালিক, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকী, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট-৬ আসনে বিএনপির প্রার্থী অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী প্রমুখ।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই দিনে সিপাহী-জনতার অভূত্থানের মাধ্যমে জিয়াউর রহমান ক্ষমতা গ্রহণ করেন এবং দেশ গভীর রাজনৈতিক সংকট থেকে মুক্তি করে বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার করেন তিনি।’ তিনি বলেন, ‘তাঁর শাসনামলে গ্রামীণ উন্নয়ন, কৃষি, ও অন্যান্য খাতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার পথে পরিকল্পনা করে কাজ শুরু হয়। শহীদ জিয়ার নেতৃত্বে এই দেশ সর্বক্ষেত্রে স্বংয়ন সম্পন্নতা অর্জন করে।’ বৈশ^য়িক রাজনীতি জিয়াউর রহমানের অবদান তুলে ধরে এসময় তিনি বলেন, ‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দেশকে মুসলিম বিশ্ব, উন্নয়নশীল দেশ ও পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করেন। তাঁর সময়ে বাংলাদেশ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে নির্বাচিত হয় এবং ‘তলাবিহীন ঝুড়ির’ অপবাদ থেকে বেরিয়ে এসে আন্তর্জাতিকভাবে একটি আত্মনির্ভরশীল ও মর্যাদাপূর্ণ দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।’

প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘৭ নভেম্বরের চেতনা আমাদের আহ্বান জানায়, সকল জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, ন্যায়বিচার ও সুশাসনের ভিত্তিতে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিলেট-৩ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী এম এ মালিক বলেন, ‘৭ নভেম্বর একদলীয় স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্র, জাতীয় ঐক্য ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ভিত্তি রচনা করেছিল। আজও সেই বিপ্লবের চেতনা আমাদের স্বৈরাচার, ফ্যাসিবাদ ও জাতীয় ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের প্রেরণা জোগায়।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকী বলেন, ‘সিপাহী ও জনতার ঐক্য, দেশপ্রেম এবং শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শই বাংলাদেশের স্বাধীনতা, ঐক্য ও সমৃদ্ধির স্থায়ী ভিত্তি গড়ে দিয়েছে।’

সভাপতির বক্তব্যে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, ‘আঙুল বাকা করার ভয় দেখানো হচ্ছে-আমি স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, আমরা সেই আঙুল ভেঙে দেব। অতীতেও এমন বহু ভয় দেখানো হয়েছিল, কিন্তু বিএনপি কখনও পিছু হটেনি, ভয় পায়নি।’ তিনি বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচনে সিলেট জেলার ছয়টি আসনসহ বিভাগের ১৯টি আসনে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে বিজয়ের উপহার দেব, ইনশাআল্লাহ।’

সমাবেশে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরীর সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন, ‘ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আশিক উদ্দিন আশুক ও মহানগর বিএনপির সহসভাপতি ডা. নাজমুল ইসলাম। 

র‌্যালি ও সমাবেশে জেলা ও মহানগর বিএনপি ছাড়াও অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী অংশগ্রহণ করেন।

দিবসটি উপলক্ষে জেলা ও মহানগর বিএনপির আওতাধীন সকল থানা, ওয়ার্ড, উপজেলা ও পৌর ইউনিটেও পৃথকভাবে র‌্যালি, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। পাশাপাশি দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসমূহ নিজেদের উদ্যোগে নানা কর্মসূচি পালন করে।


এএফ/০৪