বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি

মার্চ ২৫, ২০২১
০১:৪০ পূর্বাহ্ন

আপডেট : মার্চ ২৫, ২০২১
০১:৪০ পূর্বাহ্ন

সিলেটের বিয়ানীবাজারের গজুকাটা সীমান্ত এলাকায় ২০০ বছরের পুরোনো মসজিদের পাশে নতুন মসজিদ নির্মাণ নিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) বাধা ও নো ম্যান্স ল্যান্ডে বাঙ্কার খনন নিয়ে দুইদেশের সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে মৃদু উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল। এ নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) সুতারকান্দি আইসিপি'তে বিজিবি-বিএসএফ'র পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বিয়ানীবাজার ব্যাটালিয়নের (৫২ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. শাহ আলম সিদ্দিকী। ভারতীয় বাহিনীর পক্ষে নেতৃত্ব দেন ৭ বিএসএফ'র অধিনায়ক বি এস মিনহাজ।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সূত্র জানায়, পতাকা বৈঠকে বিএসএফ মসজিদ নির্মাণে বাধা দেবে না বলে বিজিবিকে মৌখিকভাবে আশ্বস্ত করেছে। বৈঠকে সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ'র খননকৃত বাঙ্কার তুলে নেওয়ার আহ্বান জানায় বিজিবি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাবে বলে জানিয়েছে বিএসএফ।

এ বিষয়ে বিয়ানীবাজার ব্যাটালিয়নের (৫২ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. শাহ আলম সিদ্দিকী বলেন, '১৯৭৫ সালের চুক্তি অনুযায়ী ভারতীয় বাহিনী জিরো লাইনের ১৫০ গজের ভেতরে প্রবেশ করে কোনো ধরনের বাধা প্রদান করতে পারে না। তারা সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে নো ম্যান্স ল্যান্ডের ১৫০ গজের মধ্যে নির্মিত ২০০ বছরের পুরোনো মসজিদ পুনর্নির্মাণ কাজে বাধা প্রদান করেছে। এ নিয়ে আমরা কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছি।'

তিনি বলেন, 'পতাকা বৈঠকে মসজিদ নির্মাণে বাধা না দেওয়া এবং বাঙ্কার সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বিএসএফ আমাদের বক্তব্য আমলে নিয়েছে এবং মসজিদ নির্মাণে বাধা প্রদান করবে না বলে মৌখিকভাবে জানিয়েছে।'

তিনি আরও বলেন, 'মসজিদের নির্মাণ কাজ বন্ধ আছে। তবে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত বিএসএফ তাদের বাঙ্কার সরায়নি। এ নিয়ে আরও পতাকা বৈঠক হবে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সীমান্ত এলাকায় বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।'

জানা গেছে, বিয়ানীবাজার উপজেলার গজুকাটা সীমান্ত এলাকার ১৩৫৭ নম্বর পিলারের ভেতরে বাংলাদেশ অংশে গজুকাটা গ্রামের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের অবস্থান। ২০০ বছরের পুরোনো মসজিদের পাকা দালান অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এলাকাবাসী সংলগ্ন এলাকায় নতুন একটি মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নেন। নির্মাণ কাজ চলাকালে বিএসএফ আগে একবার বাধা দিলে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তা সমাধান হয়।

এদিকে, দীর্ঘ তিন বছর পর গত সপ্তাহে বিজিবি-৫২ এর সঙ্গে বিএসএফের বৈঠকে মসজিদটি পুনর্নির্মাণের কাজ বিষয়ে আলোচনা হয় এবং এ বিষয়ে বিএসএফ বাধা প্রদান করবে না বলে আশ্বস্ত করে। কিন্তু মসজিদ নির্মাণের কাজ ফের শুরু হলে গত শনিবার বিএসএফ তাতে বাধা প্রদান করে।

এসএ/আরআর-০৭