ফেঞ্চুগঞ্জ প্রতিনিধি
মার্চ ২০, ২০২১
০১:২৯ পূর্বাহ্ন
আপডেট : মার্চ ২০, ২০২১
০১:২৯ পূর্বাহ্ন
সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় প্রথম ধাপে আসা ৬ হাজার ১০০ ডোজ করোনার ভ্যাকসিন গত দেড় মাসেও শেষ হয়নি। দিন দিন কমছে ভ্যাকসিন গ্রহণকারীর সংখ্যা। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি অক্সফোর্ড–অ্যাস্টোজেনেকার ভ্যাকসিন প্রদানের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি সকালে ফেঞ্চুগঞ্জে ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রমের উদ্ধোধন করেন সিলেট-৩ আসনের সদ্যপ্রয়াত সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী। এর আগে ভ্যাকসিন প্রদানের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। পরে তাদের মাধ্যমে টিকাদান কার্যক্রম চালানো হয়।
পরবর্তীতে সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধনের মাধ্যমে অগ্রাধিকারভিত্তিতে এসব ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়। তাতে ব্যাপক সাড়া না পাওয়ায় বয়সসীমা কমিয়ে আনা হয়। এর পরও ফলাফল তেমন পাওয়া যাচ্ছে না। ভ্যাকসিনগ্রহণে মানুষের আগ্রহ কম। মানুষ ভ্যাসকিন নিতে আসেন না। এখন নতুন করে গত ১৬ মার্চ থেকে প্রতিটি ইউনিয়নে তারা এ কার্যক্রম চালাচ্ছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে আরও জানা যায়, ফেব্রুয়ারি থেকে টিকাপ্রদান শুরু হয়। প্রথম সপ্তাহে ৫৪৫ জন, দ্বিতীয় সপ্তাহে ১ হাজার ৩৮৬ জন, তৃতীয় সপ্তাহে ৪৩৮ জন টিকাগ্রহণ করেন। সবমিলিয়ে গতমাসে মোট টিকাগ্রহণকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ২ হাজার ৩৫৯ জন। চলতি মার্চ মাসে টিকাগ্রহণকারীর সংখ্যা বাড়বে বলে ধারণা ছিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ও টিকাদানকারীদের। কিন্তু হয়েছে এর উল্টো। চলতি মাসে ১৫ কার্যসম্পাদন দিবস পার হলেও হাজারের কোটায় পৌঁছায়নি টিকাগ্রহণকারীর সংখ্যা। চলতি মার্চ মাসে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত টিকা নিয়েছেন মোট ৬১৭ জন। তাদের মধ্যে আছেন পুরুষ ৪১৯ জন ও নারী ১৯৮ জন। সবমিলিয়ে ফেঞ্চুগঞ্জে মোট ২ হাজার ৯৭৬ জন টিকাগ্রহণ করেছেন।
ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কামরুজ্জামান এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, '৬ হাজার ১০০ ডোজ করোনার ভ্যাকসিন ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসেছিল গতমাসে। এগুলো মানুষকে দেওয়া চলছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ব্যাপক সাড়া না পাওয়ায় এখন আমরা প্রতিটি ইউনিয়নে এ ভ্যাকসিন প্রদানের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।'
এসএ/আরআর-০৪