শাল্লায় তাণ্ডব : মামুনুল হককে গ্রেপ্তারের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক


মার্চ ১৯, ২০২১
০১:৫৭ পূর্বাহ্ন


আপডেট : মার্চ ১৯, ২০২১
০১:৫৭ পূর্বাহ্ন



শাল্লায় তাণ্ডব : মামুনুল হককে গ্রেপ্তারের দাবি

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনায় হেফাজত নেতা মামুনুল হকসহ জতিড়দের গ্রেপ্তারের দাবিতে সিলেটে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) বিকেল ৪ টায় কেন্দ্রীয় শহিদমিনার থেকে ‘দুষ্কাল প্রতিরোধে আমরা’র উদ্যেগে এ বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি জিন্দাবাজার পয়েন্ট ঘুরে শহিদমিনারে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। 

দুষ্কাল প্রতিরোধে আমরা’র সংগঠক দেবাশীষ দেবুর পরিচালনায় এসময় বক্তব্য দেন, দুষ্কাল প্রতিরোধে আমরা’র সংগঠক আবদুল করিম কিম, জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তাদির আহমদ মুক্তা, সাংস্কৃতিক সংগঠক শামসুল বাছিত শেরো, রিপন চৌধুরী, ভূমি সন্তান বাংলাদেশের সভাপতি আশরাফুল কবির, সিলেট মহানগর সেচ্ছাসেবকলীগের সহসভাপতি এম রশীদ আহমদ, গণজাগরণ মঞ্চ সিলেটের সংগঠক রাজীব রাসেল, মার্কসবাদী পাঠক ফোরামের সংগঠক নিরঞ্জন সরকার অপু, সংস্কৃতিকর্মী হিতাংশু কর বাবু, তমিশ্রা তিথি, সিলেট জেলা ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি মাসুদ রানা চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক বিজয় করিম, পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি  কাসমির রেজা, যুব ঐক্য পরিষদ সিলেট মহানগরের সভাপতি ধণঞ্জয় দাশ ধনু, যুব ছাত্র পরিষদের সদস্য সুপ্রিয় পাল রুপম, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা মৃন্ময় দাশ ঝুটন প্রমুখ।

প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, গতকাল বুধবার (১৭ মার্চ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে শাল্লায় হামলা ঘটনা ঘটেছে। অথচ পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। প্রশাসন শাল্লায় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। আগের দিন মিছিল করার ঘোষণা দিলেও পুলিশ গ্রামে নিরাপত্তা জোরদার করেনি। 

বক্তারা বিতর্কিত হেফাজত নেতা মানুনুল হককে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে বলেন, মুজিববর্ষের শুরুর দিকে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য বুড়িগঙ্গায় ফেলে দেওয়ার হুমকি দিয়ে আলোচনায় উঠে আসেন মামুনুল হক। এরপরও সরকার বিতর্কিত এ নেতাকে গ্রেপ্তার না করে উল্টো দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মাহফিল করার সুযোগ করে দিচ্ছে। এজন্য মামুনুল হকের বিরুদ্ধে লেখার কারণে শাল্লায় হামলা ঘটনা ঘটেছে। বক্তারা মামুনুল হককে হামলার হুমকিদাতা হিসেবে আসামি করে মামলা দায়ের করে ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

বক্তারা আরও বলেন, ফেসবুকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা হয়েছে এমন সংবাদের ওপর ভিত্তি করে বেশ কয়েক বছর ধরে দেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা করা হচ্ছে, যা সম্পূর্ণভাবে অগ্রহণযোগ্য। প্রায়ই দেখা যায়, দীর্ঘ সময় ধরে উত্তেজনা বিরাজ এবং হামলার প্রস্তুতি চললেও স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সহিংসতা প্রতিরোধে কার্যকর হতে পারছে না। অধিকাংশ সময় তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলার ঘটনা ঘটছে। এসব হামলার ঘটনা সংখ্যালঘুদের মধ্যে চরম অনিরাপত্তা আর আতঙ্কবোধ তৈরি করছে, যা দূর করতে এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

বিএ-০১