ফেঞ্চুগঞ্জ প্রতিনিধি
মার্চ ১৫, ২০২১
০৩:৪৫ পূর্বাহ্ন
আপডেট : মার্চ ১৫, ২০২১
০৩:৪৫ পূর্বাহ্ন
সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ৫ নম্বর উত্তর ফেঞ্চুগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এমরান উদ্দিনের বিরুদ্ধে ভূমি আত্মসাতের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মানিককোনা গ্রামের বেলা বেগম। রবিবার (১৪ মার্চ) বিকেলে ফেঞ্চুগঞ্জ প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বেলা বেগমের ছেলে মনিরুল ইসলাম।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সুলতানপুর মৌজার জেএল ২৫, সাবেক খতিয়ান যাহা এস/এ খতিয়ান নং- ৩৩৮/১৫০/১৫, সাবেক দাগ নম্বর ২৩৩১, সাবেক ডিপি বর্তমান আরএস খতিয়ান নম্বর ১১৪, হাল দাগ নম্বর- ৩৫৮৩ আমার মৌরশী সম্পত্তি ০.০৮ শতক যার মৌরশী দলিল নম্বর ১৪৭৪,৫০৩৩। আমি উত্তরাধিকার সূত্রে এটি পেয়েছি এবং ৮৮১ নম্বর দলিলে ১৮ শতক ভূমি আমার মায়ের কাবিনের। গত ৩ বছর আগে আমার মায়ের কাবিনের ভূমিতে ৫ নম্বর উত্তর ফেঞ্চুগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এমরান উদ্দিন অস্থায়ী কার্যালয় করার জন্য আমার কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা মাসিক ভিত্তিতে ভাড়া নিয়ে দুই মাস ভাড়ার টাকা দেন। পরবর্তীতে তিনি এই ভূমি নিজের নামে করে নিতে জাল দলিল বানিয়ে জোরপূর্বক দখল নেওয়ার চেষ্টা করেন। এতে আপত্তি জানালে তিনি তা অমান্য করে হুমকি দেন।
পরে গত ১ মার্চ ভূমিখেকো হিসেবে পরিচিত চেয়ারম্যান এমরান উদ্দিন ও সেলিম মিয়া গংরা অজ্ঞাতনামা কিছু লোক নিয়ে বর্নিত ভূমিতে পাকাঘর নির্মাণ করতে যান। আমি খবর পেয়ে বাধা প্রদান করতে গেলে বিবাদীগণ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হত্যার উদ্দেশে তেড়ে এলে স্থানীয় লোকজন আমাকে উদ্ধার করেন। এ সময় চেয়ারম্যান এমরান উদ্দিন আমাকে হুমকি দিয়ে চলে যান।
পরে আমি গত ৪ মার্চ মহামান্য অতিরিক্ত জেলা হাকিম আদালত সিলেটের শরনাপন্ন হলে আদালত আমার আর্জি শুনে ফেঞ্চুগঞ্জ বিবিধ মামলা নম্বর- ১১/২০২১ লিপিবদ্ধ করে ১৪৪ ধারার বিধানমতে এমরান উদ্দিন ও সেলিম মিয়া গংদের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল ও শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ফেঞ্চুগঞ্জের ওসিকে আদেশ প্রদান করেন।
কিন্তু চেয়ারম্যান এমরান উদ্দিন ও সেলিম মিয়া গংরা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে গত ৫ মার্চ তারিখে আবার নির্মাণ কাজ শুরু করেন। খবর পেয়ে ফেঞ্চুগঞ্জ থানার এসআই রাজেন্দ্র'র নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা উল্লেখ করে কাজ বন্ধ করেন। পরবর্তী আবারও গত ৯ মার্চ ভোরবেলা তারা আবার উল্লেখিত ভূমি দখল করতে যান। খবর পেয়ে আমি ফেঞ্চুগঞ্জ থানার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল করে ঘটনা জনাই। ৯৯৯ নম্বর থেকে ফেঞ্চুগঞ্জের ওসিকে সংযুক্ত করলে ওসি জানান এখানে আদালতের ১৪৪ ধারা জারি আছে। এরপর ফেঞ্চুগঞ্জ থানার পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘটনার সত্যতা পান এবং এমরান উদ্দিন গংদের ভূমি থেকে চলে যেতে বলেন।
মহামান্য আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আমার মায়ের কাবিনের জায়গা জোরপূর্বক দখল চেষ্টায় লিপ্ত ও আমাকে হত্যার হুমকি এবং আমার পরিবারকে নানাভাবে হয়রানি করায় আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। নিজের কাবিনের জায়গা হারানোর চিন্তায় আমার মা চিন্তিত। তাঁর হার্ট অ্যাটাক হয়ে স্বাস্থ্যের অবনতি ও বিপদ ঘটতে পারে। আমার মৌরশি ও মায়ের কাবিনের জায়গা উদ্ধারে আমি ফেঞ্চুগঞ্জের প্রশাসন ও দেশবাসীর সহযোগিতা চাই।
এসএ/আরআর-১০