সিলেট মিরর ডেস্ক
মার্চ ১০, ২০২১
১০:২২ পূর্বাহ্ন
আপডেট : মার্চ ১০, ২০২১
১০:২২ পূর্বাহ্ন
‘২০১৮ সাল থেকে প্রতি বছর সিলেট বিভাগে ব্যাংকের আমানত বাড়ছে। কিন্তু ব্যবসা-বাণিজ্যে বিনিয়োগের পরিমাণ হ্রাস পাচ্ছে, যা উদ্বেগজনক। প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেট অঞ্চলে ভারি, মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পের পাশাপাশি পর্যটন শিল্প বিকাশের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু সঠিক উদ্যোগের অভাবে অপার সম্ভাবনা নষ্ট হচ্ছে।’
মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্মেলন কক্ষে ‘সিলেট অঞ্চলে শিল্প ও ব্যবসা খাতে সম্ভাবনা, অর্থায়ন সমস্যা ও সমাধানে করণীয়’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংক সিলেটের উদ্যোগে সিলেট বিভাগের শীর্ষস্থানীয় ব্যাংকার, চার জেলার চেম্বার, উইমেন চেম্বার, নাসিব, আগর শিল্প ও অন্যান্য ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক মো. আবুল কালাম সিলেটে শিল্পায়নের অপার সম্ভাবনার বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, ‘ব্যাংকার-ব্যবসায়ী ও শিল্প উদ্যোক্তাদের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে সিলেটে শিল্পোন্নয়ন ঘটাতে হবে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের উপপরিচালক হুমায়রা জাহান রুপুর সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের উপমহাব্যবস্থাপক খালেদ আহমদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক মো. সিরাজুল ইসলাম। সিলেট অঞ্চলের বিনিয়োগের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে গবেষণার সারমর্ম তুলে ধরেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. ফজলে এলাহী ফয়সাল।
বক্তব্য দেন, সিলেট চেম্বারের সভাপতি এটিএম শোয়েব, উইমেন চেম্বারের সভাপতি স্বর্ণলতা রায়, মৌলভীবাজার চেম্বারের পরিচালক হাসান আহমেদ জাবেদ, নাসিব সিলেটের সভাপতি আলীমুল এহসান চৌধুরী, নাসিব মৌলভীবাজারের সভাপতি বকশী ইকবাল আহমদ, সুনামগঞ্জ চেম্বারের সিনিয়র সহসভাপতি আমিনুল হক, আগর আতর ম্যানুফেকচার ও এক্সপোর্টারের সভাপতি মো. আনছারুল হক, ওয়েস্টার পোল্ট্রি অ্যান্ড ফিশারিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমরান আহমদ, নাসিব মৌলভীবাজারের সম্পাদক শেকুল ইসলাম তালুকদার।
আরও বক্তব্য দেন, সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক বাবুল মো. আলম, জনতা ব্যাংক লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক লায়েস আহমদ সদরুল আলম, রূপালী ব্যাংক লিমিটেডের ডিজিএম মো. নোমান মিয়া, উত্তরা ব্যাংক লিমিটেডের ডিজিএম মো. মনোয়ারুল হক, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের জোনাল হেড শিকদার মুহাম্মদ শিহাবুদ্দিন, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের জোনাল হেড মো. খুরশীদ আলম, ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডের এরিয়া প্রধান সাফায়েত হোসাইন আহমদ।
হাফেজ মো. আবুল কাশেমের পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া সভায় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক এমএম মাহবুব আলম, অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুর রহমান সাদিক, সোনালী ব্যাংকের ডিজিএম মো. এমরান উল্লাহ, সাউথ ইস্ট ব্যাংক লিমিটেডের জোনাল হেড মো. মাসুদে রব্বানী, আইডিএলসির ব্যবস্থাপক মো. আবুল খায়ের, সুনামগঞ্জ উইমেন চেম্বারের সহসভাপতি মাহমুদ আক্তার রুবি, পরিচালক সৈয়দা ফারহানা ইমা, সিলেট উইমেন চেম্বারের পরিচালক নাসরিন বেগম, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিজিএম মো. জাবেদ আহমদ, যুগ্মপরিচালক সমীরণ দাস, উপপরিচালক তাসবীরা হক, কর্মকর্তা ফারহানা ইয়াছমিন প্রমুখ।
মূল প্রবন্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, দেশে কার্যরত ৬০টি দেশি বিদেশি তফসিলি ব্যাংকের মধ্যে সিলেট বিভাগে ৫৪টি ব্যাংকের ৭৮৬টি শাখা কার্যরত রয়েছে। এছাড়া ১২টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ১৪টি মানিচেঞ্জার ও ১টি ইন্ডেন্টিং ফার্ম রয়েছে। চলতি অর্থ বছরে বিদ্যমান করোনা মহামারি, মৌসুমী বন্যা ও অন্যান্য দুর্যোগ এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা ও দ্রব্যমূল্যের অপ্রত্যাশিত উত্থান বিষয়ক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ ব্যাংক সতর্ক দৃষ্টি রাখছে। প্রবন্ধে তিনি সিলেট বিভাগে ব্যাংকিং বিনিয়োগ বাড়ানোর তাগিদ দেন এবং পর্যটন শিল্পের বিকাশে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
আরসি-০৪