ফেঞ্চুগঞ্জে জনপ্রিয় হচ্ছে সূর্যমুখী চাষ

শহীদ আহমদ চৌধুরী, ফেঞ্চুগঞ্জ


মার্চ ১০, ২০২১
০১:৪১ পূর্বাহ্ন


আপডেট : মার্চ ১০, ২০২১
০১:৪১ পূর্বাহ্ন



ফেঞ্চুগঞ্জে জনপ্রিয় হচ্ছে সূর্যমুখী চাষ

সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় অনাবাদী জমিতে সূর্যমুখী চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন কৃষকরা। চলতি বছর উপজেলার প্রায় ১৪ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষ হয়েছে, যা বিগত বছরের তুলনায় অনেক বেশি।

ফেঞ্চুগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় রবি মৌসুমে বিপুল পরিমাণ জমি পতিত থাকে। অনাবাদী জমি আবাদের আওতায় আনতে সূর্যমুখী ও সরিষাজাত ফসল চাষের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে কৃষকদের। পাশাপাশি ভুট্টা চাষের জন্য উৎসাহিত করতে তাদের প্রণোদনা হিসেবে দেওয়া হচ্ছে বীজ ও সার।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯-২০ অর্থবছরে উপজেলার ১৪ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষ হয়েছে। ভালো ফসল হলে ১২/১৩ মন সূর্যমুখী উৎপাদন হবে। গত বছর প্রথম শুরু হয় সূর্যমুখী চাষ এবং তখন বেশ ভালো ফসল পাওয়া গিয়েছিল।

সূর্যমুখী চাষের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত জায়গা ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার উত্তর ফেঞ্চুগঞ্জ ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের আয়েশা বেগম প্রায় ৪০ শতাংশ জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছেন। তিনি জানান, বিগত বছর তিনি ৬৫ শতাংশ জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছিলেন। বর্গা জমি হওয়ায় এবার তিনি বেশি চাষ করতে পারেননি। গত বছর বেশ ভালো ফসল হয়েছিল। এবারও তার আশা, তিনি ১০/১৫ হাজার টাকার সূর্যমুখী বিক্রি করতে পারবেন। তিনি বলেন, 'এবার জমি পাইনি, তাই কম চাষ করেছি। তবে আমি এতে সন্তুষ্ট। আমায় দেখে অনেক কৃষক এখন সূর্যমুখী চাষ করছেন।'

ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার উত্তর ফেঞ্চুগঞ্জ ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নিশাত জেরিন ভাবনা বলেন, 'আয়েশা বেগম একজন ভালো উদ্যোক্তা। তাকে দেখে এখন অনেকে এগিয়ে আসছেন। আগে আমরা বাড়ি বাড়ি হেঁটে গিয়ে কৃষকদের বোঝানোর চেষ্টা করতাম। এখন মাঠ দিবসের বৈঠকে কৃষকদের ব্যাপক আগ্রহ দেখছি। কৃষকদের সাড়া পেয়ে খুব ভালো লাগে।'

লামা গঙ্গাপুর গ্রামের কৃষক রানু মিয়া এবারই প্রথম ৩০ শতাংশ জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছেন। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে  মাঠকর্মীরা তাকে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান তিনি। তিনি জানান, সরিষার চেয়ে এটা লাভজনক হবে।

ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা সুব্রত দেবনাথ বলেন, 'অনাবাদী জমি আবাদের আওতায় আনতে কৃষকদের প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। গত দুই বছর ধরে কিছু কৃষককে উৎসাহ দিয়ে সূর্যমুখী, ভুট্টাসহ বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদন শুরু করেছি। ধীরে ধীরে আবাদ বাড়ছে। প্রতি বিঘা জমিতে ৬/৭ মন সূর্যমুখী উৎপাদন হয় এবং তাতে খরচ পড়ে ৬/৭ হাজার টাকা। খরচ বাদেও ৫/৬ হাজার টাকা লাভ হয়।

 

এসএ/আরআর-০৩