নিজস্ব প্রতিবেদক
মার্চ ০৯, ২০২১
০৭:০৭ পূর্বাহ্ন
আপডেট : মার্চ ০৯, ২০২১
০৭:০৭ পূর্বাহ্ন
চা বাগানের নারী ও শিশুর সুরক্ষা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে সিলেটে গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা বলেছেন, ‘সামাজিক নানা কুসংস্কার ও বাধা পেরিয়ে নারীরা এগিয়ে যাচ্ছেন। দেশের অর্থনীতির নানা সেক্টরে তারা নেতৃত্ব দিচ্ছে। কিন্তু, চা বাগানগুলোতে নারী ও শিশুদের অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে না।
সোমবার দুপুরে নগরের একটি অভিজাত হোটেলে ইউএন উইমেন, ইউনিসেফ, ইউএনএফপিএ ও আইএলও এর যৌথ উদ্যোগে ‘কোভিড-১৯ পরবর্তী বিশ্বে সমতা অর্জনে নারী নেতৃত্ব’ বিষয়ক আলোচনার আয়োজন করা হয়।
সভায় বক্তারা আরও বলেন, নারীরা পিছিয়ে থাকলে দেশ এগিয়ে যাবে না। চা বাগানসহ সব জায়গায় নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে হবে, গড়ে তুলতে হবে নারী নেতৃত্ব।
সভায় সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আল আজাদ, আইএলও’র জাতীয় প্রোগ্রাম সমন্বয়ক আলেক্সিয়াস চিচাম, জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ছামির মাহমুদ, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার সিলেট জেলা প্রতিনিধি শুয়াইবুল ইসলাম, অক্সফাম-এর তারেক আজিজ, ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স-এর সাইফুজ্জামান, সিআরআইপিবি’র আবু সাঈদ আব্দুল্লাহ, রিপন বাড়ই, চা শ্রমিক নেতা রাজু গোয়ালা, শ্রীমতি বাউরী, জেসমিন আক্তার, জেলা শিক্ষা অফিসের সহকারী প্রোগ্রামার তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী, মাহমুদা আক্তার, লিমন, অর্পনা বক্তব্য দেন।
স্বাগত বক্তব্য দেন ইউনিসেফ কর্মকর্তা কাজী দিল আফরোজা ইসলাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন ইউএনএফপিএ এর কর্মকর্তা ডা. অনিমেষ বিশ্বাস, কীনোট উপস্থাপন করেন ইউএন উইমেন-এর তপতী সাহা। উপস্থিত ছিলেন, জাতিসংঘ বাংলাদেশ এর জয়েন্ট প্রোগ্রাম এর কমিউনিকেটশন কনসালটেন্ট তানজিম ফেরদৌস।
আলোচনায় অংশ নিয়ে চাশ্রমিক নারী ও শিশুরা জানান, বহু প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও তারা নিজেদের সুরক্ষা ও সুস্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতন হয়ে উঠেছেন। তারা এখন অন্য নারী ও শিশুর লেখাপড়া ও অধিকার বাস্তবায়নে কাজ করছেন। চাজনগোষ্ঠির জীবনমান উন্নয়নে সবার আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন শ্রমিকরা।
সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী বলেন, শিক্ষায় চাশ্রমিক পরিবারের শিশুরা সবচেয়ে পিছিয়ে। শিশু ও নারীদের মধ্যে পুষ্টিহীনতার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। তবুও, আগের চেয়ে তাদের অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে, যা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। তিনি আরও বলেন, চিন্তার পরিবর্তন ঘটছে। চা জনগোষ্ঠির জন্য সরকার নানা সুযোগসুবিধা দিচ্ছে। সুবিধাগুলো যেনো সঠিকভাবে তারা পায় তা নিশ্চিত করতে মনিটরিং জরুরি।
সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলোর উন্নয়ন কর্মসূচি যাতে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় হয় সেবিষয়ও দৃষ্টিআকর্ষণ করেন তিনি।
এসএইচ/আরসি-০১