নিজস্ব প্রতিবেদক
মার্চ ০৬, ২০২১
০২:৪৮ পূর্বাহ্ন
আপডেট : মার্চ ০৬, ২০২১
০২:৪৮ পূর্বাহ্ন
শ্রুতির পিঠা পার্বণ
করোনা ক্রান্তি লগ্ন শেষে আবারও নতুনভাবে জেগে ওঠার আহ্বান জানিয়ে সিলেটে দিনব্যাপী শ্রুতির পিঠা পার্বণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (৫ মার্চ) সকালে নগরের রিকাবীবাজারের কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে সাংস্কৃতিক সংগঠন শ্রুতির ঐতিহ্যবাহী পিঠা পার্বণের উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, করোনা কাল শেষে ঋতুরাজ বসন্তের আগমনে শীত চলে গেলেও তার পরশ এখনো রয়ে গেছে। মানুষ আবারো জেগে উঠছে শুদ্ধ সংস্কৃতির শুভ বারতায়। করোনাকে জয় করে আবারো এগিয়ে যাবে সমাজ এবং সংস্কৃতি।
বক্তারা আরও বলেন, শীত এলেই দিগন্তজোড়া প্রকৃতি হলুদ-সবুজ রঙে ছেয়ে যায়। পাকা ধানের পাশাপাশি প্রকৃতিকে রাঙিয়ে দেয় নানা রকমের ফুল। এই শোভা দেখে আনন্দে নেচে ওঠে কৃষকের মন। নতুন ধানের চাল দিয়ে তৈরি করা হয় পিঠা, পায়েস, ক্ষীরসহ হরেক রকম খাবার। সোনালি ধানের প্রাচুর্য আর বাঙালির বিশেষ অংশ নবান্ন।
পিঠা পার্বণের উদ্বোধন করেন পদ্মা সেতু প্রকল্পের মুখ্য সচিব আবৃত্তিশিল্পী দেওয়ান সাঈদুল হাসান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন শ্রুতি সম্মাননাপ্রাপ্ত গুণীজন সালা উদ্দিন আহমেদ, ভারতীয় হাই কমিশনের সহকারী কমিশনার নিরাজ কুমার জশওয়ান, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমেদ।
বক্তব্য দেন সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ শামীমা চৌধুরী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য শামসুল আলম সেলিম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি আমিনুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক গৌতম চক্রবর্তী, সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের মিশফাক আহমেদ মিশু, সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত, রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী অনিমেষ বিজয় চৌধুরী শ্রুতি সমন্বয়ক সুমন্ত গুপ্ত প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য দেন শ্রুতি সদস্য সচিব সুকান্ত গুপ্ত।
দিনব্যাপী আয়োজনে সমবেত সংগীত পরিবেশন করেন জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদ, গীতবিতান বাংলাদেশ, ছন্দনৃত্যালয়, নৃত্যশৈলী, নৃত্যরথ, অন্বেষা, নগরনাট, গীতাঞ্জলি, চারুবাক, শ্রুতি আবৃত্তি বিভাগ, সুরসপ্তক, দীপ্তর্শী, সংগীত নিকেতন, অনির্বান, সুরের ভূবন, নৃত্যাঞ্জলী, থিয়েটার একদল ফিনিক্স।
একক আবৃত্তি পরিবেশন করেন দেওয়ান সাঈদুল হাসান, শামীমা চৌধুরী, সুকান্ত গুপ্ত। সংগীত পরিবেশন করেন লোক সংগীতশিল্পী শ্যামল পাল, বাউল আব্দুর রহমান, গৌতম চক্রবর্তী, প্রদীপ মল্লিক, পল্লবী দাশ মৌ, লিংকন দাশ প্রমুখ।
বিএ-১৪