হাকালুকি হাওরে পরিযায়ী পাখি অর্ধেক কমেছে

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি


ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২১
০৪:৪০ পূর্বাহ্ন


আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২১
১১:৫০ অপরাহ্ন



হাকালুকি হাওরে পরিযায়ী পাখি অর্ধেক কমেছে

এক বছরের ব্যবধানে হাকালুকি হাওরে পাখির সংখ্যা কমেছে অর্ধেক । ২০২০ সালের শুমারিতে হাওরে ৫৩ প্রজাতির ৪০ হাজার ১২৬টি জলচর পাখির উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া যায়। এ বছর ২৩ এবং ২৪ ফেব্রুয়ারির শুমারিতে ৪৬ প্রজাতির ২৪ হাজার ৫৫১ টি জলচর পাখির দেখা মিলেছে।

ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন (আইইউসিএন), প্রকৃতিও জীবন এবং বাংলাদেশ বার্ড ক্লাব হাকালুকি হাওরের ৪৬টি বিলে এবারের শুমারি করে। 

এ তথ্য নিশ্চিত করেছন শুমারিতে অংশ নেওয়া আইইউসিএন এর মুখ্য গবেষক সীমান্ত দিপু। 

তিনি বলেন, শুমারিতে ২৪ হাজার ৫৫১টি পাখির দেখা মিলেছে তার মধ্যে ৬ হাজার ৪৭২টি বিভিন্ন প্রজাতির হাস। 

বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের সহসভাপতি তারেক অনু বলেন, হাওয়া বন্যা, কালাপানি, রঞ্চি, দুধাই, গড়কুড়ি, চোকিয়া, উজান-তরুল, ফুট, হিংগাউজুড়ি, নাগাঁও, লরিবাঈ, তল্লার বিল, কাংলি, কুড়ি, চেনাউড়া, পিংলা, পরোটি, আগদের বিল, চেতলা, নামা-তরুল, নাগাঁও-ধুলিয়া, মাইছলা-ডাক, চন্দর, মালাম, ফুয়ালা, পলোভাঙা, হাওড় খাল, কইর-কণা, মোয়াইজুড়ি, জল্লা, কুকুরডুবি, বালিজুড়ি, বালিকুড়ি, মাইছলা, গড়শিকোণা, চোলা, পদ্মা, কাটুয়া, তেকোণা, মেদা, বায়া, গজুয়া, হারামডিঙা, গোয়ালজুড়সহ হাওরের ৪৩টি বিলে পাখিশুমারি চলে।  

পাখি শিকার বন্ধ এবং তাদের আবাসের দিকে খেয়াল রাখার ওপর জোর দেন তারেক অনু। তিনি বলেন, যেভাবে পাখি কমেছে তার পেছনে অনেক কারণ আছে। স্থানীয় মানুষকে সচেতন হয়ে পাখি শিকার বন্ধ এবং তাদের আবাসের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। পাখি কমে গেলে মাছও কমে যাবে। যে হাওরে পাখি থাকে না প্রাকৃতিক নিয়মে সেখানে মাছও হবে না।

আইইউসিএন এর মুখ্য গবেষক সীমান্ত দিপু জানান, সবচেয়ে বেশি ৮ হাজার ৩৮৯টি পাখির দেখা মিলেছে হাওড় খাল বিলে। পাখি কমে যাওয়ার কারণে হিসেবে পরিবেশের ভারসাম্য না চিন্তা করে মাছ ধরা এবং  হাওর শুকিয়ে যাওয়া দায়ী। বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের তথ্য অনুসারে ২০১৭ সালে হাকালুকি হাওরে পাখির সংখ্যা ছিল ৫৮ হাজার ২৮১টি।  ২০১৮ সালে তা কমে এসে দাঁড়ায় ৪৫ হাজার ১ শ। ২০১৯ সালে এর সংখ্যা ছিল ৩৭ হাজার ৯৩১টি।  ২০২০ সালের শুমারিতে হাওরে ৫৩ প্রজাতির ৪০ হাজার ১২৬টি পাখির দেখা মিলে।

পাখি শুমারিতে অংশ নেন, বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের প্রতিষ্টাতা সভাপতি পাখি বিশেষজ্ঞ ইনাম আল হক, বার্ড ক্লাবের সহসভাপতি তারেক অণু, আইইউসিএনের মুখ্য গবেষক সীমান্ত দিপু এবং আইইউসিএন বাংলাদেশের অনান্য গবেষকরা।

বিএ-২৫