মৃত ব্যক্তিকে ‘আলবদর’ সাজিয়ে মিথ্যাচার করার অভিযোগ

সিলেট মিরর ডেস্ক


ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২১
০৫:৫১ পূর্বাহ্ন


আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২১
০৫:৫১ পূর্বাহ্ন



মৃত ব্যক্তিকে ‘আলবদর’ সাজিয়ে মিথ্যাচার করার অভিযোগ
সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন

সুনামগঞ্জের ছাতকের রায়সন্তোষপুর গ্রামে প্রয়াত কালা মিয়াকে ‘স্বাধীনতা বিরোধী আলবদর’ সাজিয়ে একই গ্রামের মাওলানা ফিরোজ আহমদ মিথ্যাচার করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদ জানালে তিনি কালা মিয়ার পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন; এ কারণে কালা মিয়ার পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। 

বুধবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেছেন প্রয়াত কালা মিয়ার ছেলে কুতুব উদ্দিন। জামায়াত নেতা ফিরোজ শুধু তার বাবাকে নিয়ে নয়, এলাকার অনেক বিশিষ্টজনের বিরুদ্ধেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।

লিখিত বক্তব্যে কুতুব উদ্দিন বলেন, নিজের রাজনৈতিক পরিচয় আড়াল করে ‘প্রশ্নোত্তরে সাধারণ জ্ঞান’ নামে অনিয়মিত ম্যাগাজিনে অপ্রাসঙ্গিকভাবে এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে রাজাকার আলবদর সাজিয়ে লেখালেখি করছেন। ওই ম্যাগাজিনের ১৫১ নম্বর প্রশ্নে তিনি ‘সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার রায়সন্তোষপুর গ্রামের আলবদর কতজন ছিল এরকম একটি প্রশ্নের উত্তরে দুই জনের নাম লিখেছেন। তাতে প্রয়াত কালা মিয়াকেও আলবদর হিসেবে উল্লেখ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘এ ম্যাগাজিন প্রকাশ হওয়ার পর গ্রামের মানুষ তার ওপর ক্ষেপে যায়। এরপর তিনি ক্ষমা চান। কিন্তু তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে এ নিয়ে আর কথা না বলতে আমাদের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখান। সবশেষ গত ১৮ ফেব্রæয়ারি দুপুরে গ্রামের রাস্তায় একা পেয়ে ফিরোজ তার সহযোগীদের নিয়ে হামলার চেষ্টা করেন। একইভাবে ২১ ফেব্রæয়ারি গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্টে ফিরোজ আহমদ ও তার ভাই মাসুক আলী একা পেয়ে অনুরূপভাবে গালিগালাজ করে প্রাণনাশের হুমকি দেন। এ ঘটনায় ছাতক থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।’

তিনি জানান, তার বাবা প্রয়াত কালা মিয়া মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিলেন এবং বিভিন্নভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করেছেন। কুতুব উদ্দিন বলেন, ‘আমরা পুরো পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এমতাবস্থায় মৃত বাবাকে নিয়ে এ ধরনের মিথ্যা ভিত্তিহীন সংবাদ দেখে হতবাক হয়েছি। একইসঙ্গে প্রভাবশালী ফিরোজের ভয়ভীতির কারণে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আতঙ্কে আছি।’ মাওলানা ফিরোজ আহমদকে আইনের আওতায় আনতে পুলিশ, র‌্যাবসহ গোয়েন্দা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তিনি।

বিএ-২০