সিলেট মিরর ডেস্ক
ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২১
০৪:৪৬ পূর্বাহ্ন
আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২১
০৪:৪৬ পূর্বাহ্ন
মইনউদ্দিন আদর্শ মহিলা কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক মো. মাহবুবুর রউফ নয়ন তার বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেছেন, সদ্য প্রাক্তন অধ্যক্ষ মো. গিয়াস উদ্দিনের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ায় মিথ্যাচার এবং কুৎসা রটাচ্ছেন।
বুধবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে মাহবুবুর রউফ বলেন, ‘২০১৭ ও ২০১৮ সালে গিয়াস উদ্দিনের সঙ্গে শিক্ষকদের বেতন-ভাতা নিয়ে মনোমালিন্য হয়। এ থেকেই তার সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এরপর থেকেই গিয়াস উদ্দিন তাকে নানাভাবে হয়রানি করার সুযোগ খুঁজতে থাকেন। এ ঘটনার পর থেকে তার সিন্ডিকেটের রোষানলে পড়তে হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০১৯ সালের ২১ জানুয়ারির গভর্নিং বডির সভায় সিদ্ধান্তের আলোকে গিয়াস উদ্দিন তার পছন্দের শিক্ষকদের দিয়ে মিথ্যা, বানোয়াট ও সাজানো কাহিনী সাজিয়ে তাকে প্রথমে সাময়িক বরখাস্ত এবং পরবর্তীতে শোকজ করেন, যা বিধিসম্মত ছিল না। এ শোকজের জবাব প্রদানের পর কলেজের সাবেক গভর্নিং বডির সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল আজিজ ও সদস্য সচিব গিয়াস উদ্দিন নেতৃত্বাধীন কমিটি ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন না করে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করেন। এ কমিটি তার কোনো লিখিত কিংবা মৌখিক বক্তব্য না নিয়েই প্রতিবেদন প্রদান করে। তার ইচ্ছা অনুযায়ী, ২০১৯ সালের ২১ ফেব্রæয়ারি গভর্নিং বডির সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক সম্পূর্ণ অনিয়মতান্ত্রিকভাবে আমাকে কলেজ থেকে চ‚ড়ান্ত বরখাস্ত করেন।’
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ‘এ অবৈধ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে একই বছরের ১৪ মার্চ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আপিল করি। বিশ্ববিদ্যালয়ের আপিল বোর্ড উভয় পক্ষের শুনানী শেষে ২২ অক্টোবর তার পক্ষে চ‚ড়ান্ত রায় দিয়ে চাকুরিতে বহাল রাখার নির্দেশ দেন। কিন্তু পাঁচবার লিখিভাবে আবেদন করার পরও কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। উল্টো অধ্যক্ষ গিয়াস উদ্দিন তার সহযোগী ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক ও আমার সহকর্মী সৈয়দা ফাতেমা সুলতানা হয়রানির উদ্দেশ্যে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা, কাল্পনিক ও মনগড়া তথ্য দিয়ে ৩টি জিডি করেছেন। যার কোন সত্যতা নেই।’
অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গিয়াসের নানা অনিয়মের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘২০১৮ সালের গভর্ণিং বডির এক সভায় দাতা সদস্য মহসিন মানিক কর্র্তৃক স্বাক্ষরিত এক পত্রে অধ্যক্ষ গিয়াস উদ্দিনের গ্র্যাচুয়্যাটির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তোলেন। পরে আত্মসাতকৃত টাকা কলেজ ফান্ডে ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হন তিনি। এছাড়াও গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে কলেজ ফান্ড থেকে ব্যাংক চেকের মাধ্যমে মোটা অঙ্কের টাকা উত্তোলনসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘গিয়াস উদ্দিন সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন তিনি স্বেচ্ছায় ও স্ব-উদ্যোগে কলেজের অধ্যক্ষ পদ ছেড়েছেন। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। প্রকৃতপক্ষে গিয়াস উদ্দিন কলেজের সাধারণ শিক্ষকদের ক্ষোভ ও সমালোচনার মুখে গভর্নিং বডির ২০২০ সালের ২১ অক্টোবরের সভার সিদ্ধান্তের আলোকে পদ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।’
সিলেটের আদালতে গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও চলমান রয়েছে বলে দাবি করেন নয়ন।
বিএ-১৭