সিলেটের দুই ব্যবসায়ীকে মাদক মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ

সিলেট মিরর ডেস্ক


ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২১
০৩:৪৪ পূর্বাহ্ন


আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২১
০৩:৪৪ পূর্বাহ্ন



সিলেটের দুই ব্যবসায়ীকে মাদক মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ

পূর্বশত্রুতার জের ধরে সিলেট নগরের দুই ব্যবসায়ীকে পুলিশ মাদকের মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের বরখাস্ত করে বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) এ উপলক্ষে সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান খন্দকার ফজজুর রহমান (ইফতেখার)। এতে তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘১৬ ফেব্রুয়ারি রাত ৮ টায় তিনিসহ তাঁর ব্যবসায়ী পার্টনার মাজেদ আহমদ ইমন নিজের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে প্রাইভেট কারযোগে অন্য এক বন্ধুকে পৌঁছে দিতে নগরের বাদামবাগিচায় যান। বন্ধুকে বাসায় নামিয়ে ফেরার পথে পীর মহল্লার রহমানিয়া মাদরাসার সামনে সাদাপোশাকের কয়েকজন তাদের গাড়ির গতিরোধ করে। এ সময় একজন নিজেকে এস.আই বিমল পরিচয় দিয়ে গাড়ি হতে নামতে বলেন। আপনাদের গাড়িতে মাদক আছে বলে তল্লাশি করে কিছু পাননি। কিন্তু এরপরও এসআই বিমল মাদকাসক্ত বলে হাতকড়া লাগিয়ে আমাদেরকে থানায় নিয়ে যায়। মাদক ব্যবহারের অভিযোগ প্রমাণে আমরা তখন পুলিশকে আমাদের মেডিকেল টেস্টের কথা বলি।’

তারা আরও অভিযোগ করে বলেন, ‘ওসমানী হাসপাতালে নেওয়ার পর এসআই বিমল ডাক্তারকে চাপ প্রয়োগ করে তার কথামতো ডাক্তারি স্লিপ লিখে নেন। এরপর আমাদেরকে থানায় নিয়ে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন ২০১৮ এর ৩৬(১) এর টেবিল ২৫ ধারায় (মাদক দ্রব্য সেবন করার অপরাধের ধারা) মামলা দায়ের করেন।’

সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ী অভিযোগ করে বলেন, মামলায় যে দুইজনকে স্বাক্ষী করা হয়েছে তারা ওই এলাকার বাসিন্দা নয়। তাদেরকে জোর করে সাক্ষী করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘গত কোরবানী ঈদে আমাদের নিজস্ব ভূমির উপর খামারে প্রায় ৩ শতাধিক উন্নত জাতের গরু বিক্রির জন্য সিলেট সিটি করপোরেশনের অনুমতি সাপেক্ষে গরু বিক্রি করি। এ সময় সোবহানীঘাট পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন আইসি, এসআই (নিরস্ত্র) বিমল চন্দ্র দে আমাদেরকে পুলিশ ফাঁড়িতে যাওয়ার জন্য বলেন। সেখানে তিনি মোটা অংকের চাঁদা দাবি করেন। বিষয়টি ওসিকে জানালে বিমল আমাদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।’

ব্যবসায়ীরা তাদের বিরুদ্ধে করা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে এসআই বিমল চন্দ্র দেসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানান।

বিএ-১৫