নিজস্ব প্রতিবেদক
সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২০
০৬:২৯ অপরাহ্ন
আপডেট : সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২০
০৬:৩৪ অপরাহ্ন
নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও তিন জন মারা গেছেন। তারা হলেন, মোহাম্মদ আলী (৫৫), শামীম ও জুলহাস। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪ জনে। শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. পার্থ শঙ্কর পাল এ তথ্য জানিয়েছেন। দগ্ধ হয়ে ওই ইনস্টিটিউটে ৩৭ জন চিকিৎসাধীন ছিলেন।
মৃতদের মধ্যে যাদের নাম জানা গেছে তারা হলেন, মসজিদের ইমাম আবদুল মালেক (৬০), মুয়াজ্জিন দেলোয়ার হোসেন (৪৮) ও তার ছেলে জুনায়েদ (১৭), দুই ভাই জোবায়ের (১৮) ও সাব্বির (২১), মুন্সীগঞ্জের কুদ্দুস ব্যাপারী (৭২), চাঁদপুরের মোস্তফা কামাল (৩৪), পটুয়াখালীর গার্মেন্টস কর্মী রাশেদ (৩০), হুমায়ুন কবির (৭২), পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর জামাল আবেদিন (৪০), গার্মেন্টস কর্মী ইব্রাহিম বিশ্বাস (৪৩), কলেজ শিক্ষার্থী রিফাত (১৮), চাঁদপুরের মাইনুউদ্দিন (১২), ফতুল্লার জয়নাল (৩৮), লালমনিরহাটের গার্মেন্টস কর্মী নয়ন (২৭), নিজাম (৩৪), নারায়ণগঞ্জের রাসেল (৩৪), খুলনার কাঞ্চন হাওলাদার (৫০), শিশু জুয়েল (৭) এবং বাহার উদ্দিন (৫৫), নাদিম (৪৫) জুলহাস (৩৫) শামীম (৪৫)। মারা যাওয়া ব্যক্তিরা তল্লা এলাকার বাসিন্দা।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে এশার নামাজের সময় এ বিস্ফোরণ ঘটে। ফরজ নামাজের মোনাজাত শেষে অনেকে সুন্নত ও অন্য নামাজ পড়ছিলেন। এসময় মসজিদের ভেতরে প্রায় ৪০ জনের মতো মুসল্লি ছিলেন। বিস্ফোরণে তাদের প্রায় প্রায় সবাই দগ্ধ হন।
শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন এর আগে জানিয়েছিলেন, দগ্ধদের মধ্যে বেশির ভাগেরই মেজর বার্ন। অনেকের বার্ন কম থাকলেও শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। তাই কেউ আশঙ্কামুক্ত নয়। দগ্ধদের অনেককে আইসিইউতে পাঠানো হয়েছে।
বিএ-০৭