সিলেট মিরর ডেস্ক
সেপ্টেম্বর ০২, ২০২৫
১১:৩৫ অপরাহ্ন
আপডেট : সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২৫
০৩:৪৫ অপরাহ্ন
বিসিবির আগামী নির্বাচনে পরিচালক পদে লড়াইয়ে থাকছেন বলে জানালেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। দেশের জন্য অবদান রাখতে তার এমন ভাবনার কথা জানিয়ে বললেন, ‘এখানে (বিসিবিতে) সভাপতি পদে নির্বাচন হয় না। পরিচালক নির্বাচন হয়। সেটা প্রথম অংশ এবং সেখানে থাকার চেষ্টা করব।’ যদি তাতে সফল হন তখন সভাপতি হতে চান সেটা একটু অন্যভাবে বললেন, ‘পরবর্তীতে যদি সুযোগ হয়, আমি চেষ্টা করব যেভাবেই হোক বাংলাদেশকে সার্ভ করার।’
আজ মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সিলেট জেলা স্টেডিয়াম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সহ সভাপতি নাজমুল আবেদিন ফাহিমসহ বোর্ড কর্মকর্তারা।
এর আগে বেলা একটার দিকে সিলেট জেলা ভবনে এসে পৌঁছালে তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটির সদস্যসচিব মো. নূর হোসেন, অ্যাডহক কমিটির সদস্য এমরান আহমদ চৌধুরী, সাহাজ উদ্দিন টিপু, ইয়াহইয়া ফজল, ওয়াহিদ উমায়ের প্রমুখ।
বিসিবির নির্বাচনে অংশ নেবেন কিনা প্রশ্নে আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ‘ফাহিম ভাই (জয়নাল আবেদিন ফাহিম) ইতোমধ্যে বোর্ডের পক্ষ থেকে ঘোষণা করেছেন অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন। যথাযথভাবেই নির্বাচন হবে। এখানে সভাপতি নির্বাচন হয় না। পরিচালক নির্বাচন হয়। সেটা প্রথম অংশ এবং সেখানে থাকার চেষ্টা করব। পরবর্তীতে যদি সুযোগ হয় আমি চেষ্টা করব যেভাবেই হোক বাংলাদেশকে সার্ভ করার।’ক্রিকেটকে বিকেন্দ্রিকরণে সিলেটে রিজিওনাল সেন্টার স্থাপনের কাজ শিগগির শুরু হচ্ছে জানিয়ে এসময় তিনি বলেন, ‘দেখুন এখানে (সিলেটে) ক্রিকেট খেলার পরিমাণ অনেক বেড়ে যাচ্ছে এবং বেড়ে যাবে। আমরা খুব শিগগির সিলেটে ক্রিকেটের রিজিওনাল সেন্টার স্থাপন করতে যাচ্ছি। তখন আমাদের মাঠের প্রয়োজন হবে। সুতরাং যে প্রস্তাব (ডিএসএর দেওয়া প্রস্তাব) এবং মাঠের বর্তমান যে অবস্থা দেখলাম তাতে যত দ্রুত সময়ে সম্ভব এই মাঠকে খেলার উপযোগী, অনুশীলনের উপযোগী এবং ইনডোরের যে কাঠামো দেখলাম সবগুলো আমরা পর্যায়ক্রমে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করব।’
রিজিওনাল ক্রিকেট সেন্টারের ইতিবাচক দিক তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘যখন আমরা ঢাকা থেকে সমস্যা দেখি তখন কয়েকশো সমস্যা থাকে। এখন আমরা যে রিজিওনাল ক্রিকেট সেন্টার করার চিন্তা করছি ক্রিকেটকে বিকেন্দ্রিকরণ করার জন্য। এটা যদি করা যায় তখন এখান (সিলেট) থেকে যারা ক্রিকেট দেখবে তারা হয়তো সুন্দর সুন্দর জায়গা নিয়ে আমাদের কাছে আসবে বা নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে কিভাবে প্র্যাকটিস ফ্যাসিলিটিজ বাড়ানো যায়, স্কুলের ব্যাক ইয়ার্ডে ক্রিকেট ফ্যাসিলিটি বাড়ানো যায়। একটা ছোট জায়গায় কিভাবে বয়সভিত্তিক গ্রুপের খেলা খেলানো যায়। তখন সেদিকে আমরা ফোকাস দিতে পারব।’
একই মাঠে যাতে ক্রিকেট, ফুটবলসহ সব ইভেন্ট করা যায় সেজন্য টেকনোলজির ব্যবহার করতে চান জানিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রত্যেকটি জেলায় দুটো খেলাই হয়। আবার অনেক জায়গায় শুধু ক্রিকেট হয়, অনেক জায়গায় শুধু ফুটবল খেলা হয়। এখন বিশ্ব চিত্র বদলে গেছে। এখন সারা বিশ্বে বেশিরভাগ মাঠগুলো মাল্টিপারপাস কাজে ব্যবহার হয়। ইংল্যান্ডে, অস্ট্রেলিয়াতেও। তারা যে টেকনোলজিটা ব্যবহার করে আমি দেখেছি, তারা ক্রিকেট এবং অন্যান্য স্পোর্টেসের মাঝখানে তিন সপ্তাহের মতো তারা সময় নেয় এবং টেকনোলজির মাধ্যমে পিচের মাটি এবং অন্যান্য স্পোর্টসের সঙ্গে যে সমন্বয় করা হয় সেই টেকনোলজি আমরা ব্যবহারের চেষ্টা করব। এটা যদি আমরা করতে পারি এবং সবাই গ্রহণ করেন তাহলে যে যে জেলার মাঠ আমরা ক্রিকেট, ফুটবল, মাল্টিপারপাসে ব্যবহার হচ্ছে সেখানে এ টেকনোলজি গ্রহন করার ইচ্ছাটা যদি হয় আমরা তাহলে সেদিকে এগিয়ে যাব।’
সিলেট জেলা স্টেডিয়ামের সংষ্কারে ভূমিকা রাখার আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, ‘যদিও এটা আমার অফিসিয়াল ভিজিট। কিন্তু এই মাঠের সঙ্গে আমার সম্পর্ক অনেক পুরনো। এখন আমাদের ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট গ্রাউন্ড হয়েছে দুইটা। কিন্তু আমাদের মাঠ তো এটাই। মেইন মাঠ ছিল একসময়।’
এসময় স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ‘আমি নিজেও এখানে অনুর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ খেলেছি। ডমেস্টিক ক্রিকেট অনেক খেলেছি। এই মাঠটার সঙ্গে আমাদের সম্পর্কটা আমাদের অনেক পুরনো এবং সিলেট ক্রিকেট গ্রাউন্ড বলতে আমরা এই স্টেডিয়ামকেই জানতাম। যেহেতু এটা সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার তত্বাবধানে আছে। আমরা একটা প্রস্তাব পেয়েছি উনাদের কাছ থেকে রেনুভেশনের। আমরা চেষ্টা করব যত দ্রুত সময়ে করা যায়।’
জেলার মাঠকে প্রতিযোগিতামূলক খেলার উপযোগী করতে চান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই মাঠ যেহেতু মাল্টিপারপাস ব্যবহৃত হচ্ছে, ক্রিকেট হচ্ছে, ফুটবল হচ্ছে, অন্যান্য খেলা হচ্ছে-এটাকে ক্রিকেট স্টেডিয়াম হিসেবে অত মসৃণ আমরা আশাও করি না। তবে যখন ক্রিকেট খেলা হবে তখন ক্রিকেটের মতো করে যতটা সম্ভব উপযোগী করার, বিশেষ করে মাঝখানের পিচগুলো, প্র্যাকটিসের যে পিচগুলো এবং আউট পিচ যতটা তাড়াতাড়ি করা যায়, যাতে অন্তত প্রতিযোগিতামূলক খেলা হয়।’
এএফ/০৪