সিলেট মিরর ডেস্ক
আগস্ট ০৭, ২০২৪
০৫:৫৯ অপরাহ্ন
আপডেট : আগস্ট ০৮, ২০২৪
০৭:৪৬ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) জানিয়েছে, তারা বাংলাদেশের মানুষের প্রতি সম্পূর্ণ অঙ্গীকারবদ্ধ রয়েছে। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগ করে বাংলাদেশ ত্যাগ করার পর আইএমএফ’র পক্ষ থেকে এই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হলেও তাদের ঋণ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। রয়টার্সের খবরে এ কথা বলা হয়েছে।
খবরে বলা হয়, আইএমএফ’র এক মুখপাত্র বলেছেন, আইএমএফ বাংলাদেশের ঘটনাবলির দিকে নজর রাখছে, তবে দেশটিতে সংঘটিত ‘জীবনহানি ও মানুষের আহত হওয়ার ঘটনায়’ তারা গভীর দুঃখ প্রকাশ করে। ই-মেইলে পাঠানো আইএমএফ’র মুখপাত্রের ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আমরা বাংলাদেশ ও দেশটির মানুষের প্রতি সম্পূর্ণ অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির চেষ্টাকে সমর্থন করি। আইএমএফ গত বছরের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করে।
ইতোমধ্যে ঋণের তিনটি কিস্তির অর্থ ছাড় করেছে। আগামী ডিসেম্বরে চতুর্থ কিস্তির অর্থ ছাড় করার কথা রয়েছে।
এদিকে সোমবার বিশ্বব্যাংক জানায়, তাদের ঋণের ওপর বাংলাদেশের পরিস্থিতি কী প্রভাব ফেলতে পারে, তা তারা খতিয়ে দেখছে। তবে দেশটির উন্নয়নের ক্ষেত্রে তাদের অঙ্গীকার আগের মতোই আছে বলে জানায়। চলতি অর্থবছরে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে ২৮৫ কোটি ডলার দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে।
বাংলাদেশের কোনো বৈদেশিক মুদদ্রর বন্ড নেই। দেশটির স্বল্পমেয়াদি ঋণ জিডিপির মাত্র ৫ শতাংশ। সুতরাং আর্থিক বাজারে দেশটির রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাব কী পড়ছে, সে সম্পর্কে খুব সীমিত ধারণা পাওয়া যায়।
তবে সাম্প্রতিক প্রতিবাদের পেছনে বাংলাদেশের স্থবির অর্থনীতির ভূমিকা রয়েছে। দেশটির ১৭ কোটি জনগণের মধ্যে ৩ কোটি ২০ লাখ তরুণের কাজ অথবা শিক্ষা নেই। মূল্যস্ফীতি প্রায় ১০ শতাংশের কাছাকাছি। যে রিজার্ভ রয়েছে, তা দিয়ে মাত্র তিন মাসের আমদানি দায় মেটানো সম্ভব।
এএফ/১০