জিয়াউল হক জিয়া, কুলাউড়া
এপ্রিল ০১, ২০২৪
০৩:১৬ পূর্বাহ্ন
আপডেট : এপ্রিল ০১, ২০২৪
০৩:১৮ পূর্বাহ্ন
মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়ার বরমচাল ইউনিয়নে আলোচিত রেখা বেগম (২০) হত্যার অভিযোগে তার সাবেক স্বামী রিয়াজ উদ্দিন (২২) কে ঢাকা থেকে ৩০ মার্চ শনিবার রাতে গ্রেপ্তার করে কুলাউড়া থানা পুলিশ। টিকটকের কারণে হত্যা করা হয়েছে বলে আদালতে জবানবন্দি।
আজ রবিবার (৩১ মার্চ) আদালতে সোপর্দ করা হয়। পুলিশের কাছে ও আদালতে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে ঘাতক রিয়াজ।
পুলিশ জানায়, নিহত রেখা বেগম ও তার ঘাতক স্বামী রিয়াজ উদ্দিন দু’জনেই ছিলো টিকটকার। টিকটকার থেকে তাদের পছন্দেই বিয়ে হয়। উভয় পরিবার তখন মেনে নিলেও রিয়াজ উদ্দিনের পরিবার বিষয়টি সহজে মেনে নেয়নি। ফলে বিয়ের কিছুদিন পর পারিবারিক চাপে রেখাকে তালাক দেয় রিয়াজ। কিন্তু তাদের উভয়ের মধ্যে সম্পর্ক ছিলো বিদ্যমান। অন্য ছেলের সাথে রেখা একটু খোলামেলা টিকটক করায় ক্ষিপ্ত হয় রিয়াজ উদ্দিন। বুধবার ২৭ মার্চ রেখা ও রিয়াজ একসাথে টিকটক করার এক পর্যায়ে অন্য ছেলের সাথে খোলামেলা টিকটক করার বিষয় নিয়ে কথা বলার এক পর্যায়ে রিয়াজ রেখার গলা টিপে ধরে। রেখা এসময় চিৎকার করলে ওড়না দিয়ে তার মুখ পেচিয়ে রাখে। এরকম ঘটনার এক পর্যায়ে রেখা মারা যায়। ভোরে সেই ওড়না দিয়ে সুপারি গাছের সাথে বেঁধে রাখে। সকালে সে ঢাকায় চলে যায়। ঢাকা থেকে তাকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রহিম রোববার তাকে আদালতে হাজির করেন। আদালতেও সে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে।
কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আলী মাহমুদ জানান, উভয়ই টিকটকার ছিলো। মনমালিন্যের জের ধরে রিয়াজই হত্যা করেছে রেখাকে। স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে। ঘটনার পর কৌশলে সে এলাকা ছেড়ে রাজধানীতে পালিয়ে যায়।
উল্লেখ্য, কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল ইউনিয়নে ২৯ মার্চ শুক্রবার রেখা বেগম (২০) নামক এক স্বামী পরিত্যাক্তা গৃহবধুর লাশ সুপারি গাছের সাথে বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।
এএফ/০৯