নিজস্ব প্রতিবেদক
নভেম্বর ১৯, ২০২৩
০৬:১৬ অপরাহ্ন
আপডেট : নভেম্বর ১৯, ২০২৩
১১:৩০ অপরাহ্ন
বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতালের প্রথম দিন ঢিলেঢালা হরতাল চলছে। সড়কে চার চাকার যান কম চললেও রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা দাপট সকাল থেকে। তবে দোকানপাট তেমন একটা খুলেনি।
আজ রবিবার (১৯ নভেম্বর) দুপুর পর্যন্ত সিলেট নগরের বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার, রিকাবিবাজার, চৌহাট্টা, আম্বরখানা, উপশহর, হুমায়ুন রশীদ চত্বর এলাকা ঘুরে এ ধরণের চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, শহরের ভেতরে এবং শহর থেকে বিভিন্ন প্রান্তে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও প্রাইভেট কার চলাচল করছে, যদিও সংখ্যায় তা স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় অনেক কম। সাধারণ মানুষ গন্তব্যে যেতে রাস্তায় বের হয়েছেন। যানবাহন কম থাকায় অনেকে দীর্ঘক্ষণ বিভিন্ন পয়েন্টে-গলির মুখে যানবাহনের অপেক্ষা করছেন। কেউ কেউ হেঁটেই গন্তব্যে রওয়ানা দিয়েছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের কর্ম-চাঞ্চল্যের পাশাপাশি বাড়তে শুরু করেছে ব্যক্তিগত ও গণপরিবহন। ভয় থাকলেও কিছু যাত্রী বাধ্য হয়ে গাড়িতে উঠছেন জীবনের তাগিদে। তবে নগরীর প্রধান কয়েকটি পয়েন্ট সংলগ্ন বিপনী বিতান ও দোকানপাট বন্ধ ছিল।
সকালের দিকে নগরের সুবিদবাজার এলাকায় একটি লেগুনা গাড়ী সামনের গ্লাস ভাংচুর করে পালিয়ে যায় পিকেটাররা। এছাড়া হরতাল ঘিরে অন্য কোন ধরণের বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যায়নি। হরতালে যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলতা রোধে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ সকাল আটটার দিকে দক্ষিণ সুরমার সুলতানপুর এলাকায় সিলেট-সুলতানপুর সড়কে অবস্থান নিয়ে হেলমেট পরা কয়েকজন যুবক পিকেটিং করেন। এ সময় একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার কাচ ভাঙচুর করা হয়। সকাল সাতটার দিকে নগরের চৌকিদিঘী এলাকার সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন একদল যুবক।
পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসার খবরে ওই এলাকা ত্যাগ করেন তারা। এছাড়া নগরের ওসমানী মেডিকেল কলেজ রোড, বিমানবন্দর এলাকা এবং সিলেট–সুনামগঞ্জ সড়কের টুকেরবাজার সড়কে বিক্ষোভ ও পিকেটিং করেছেন স্বেচ্ছাসেবক দলসহ অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখ বলেন, আজ দুপুর ১টা পর্যন্ত সিলেট মহানগর এলাকায় কোনো সহিংসতার খবর পাননি তিনি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ সতর্ক অবস্থানে আছে।
সিলেট নগরে হরতালের চিত্র-
এএফ/০৫