যমুনা অভিমুখে জবি শিক্ষার্থীরা: পুলিশের লাঠিচার্জ, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ

সিলেট মিরর ডেস্ক


মে ১৪, ২০২৫
০২:১১ অপরাহ্ন


আপডেট : মে ১৪, ২০২৫
০২:৩৩ অপরাহ্ন



যমুনা অভিমুখে জবি শিক্ষার্থীরা: পুলিশের লাঠিচার্জ, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ

যমুনা অভিমুখে জবি শিক্ষার্থীরা: পুলিশের লাঠিচার্জ, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ


জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ‘লং মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচিতে লাঠিচার্জ, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১৪ মে) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে এ কর্মসূচি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় যমুনা অভিমুখে যাত্রা করে কয়েকশত শিক্ষার্থী।

পথিমধ্যে পুলিশের বেশ কয়েকটি ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। তবে, কাকরাইল মোড় পৌঁছালে সেখানে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন তারা। এসময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও পুলিশের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

জানা গেছে, গত সোমবার শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ে ক্যাম্পাসে ছাত্র-শিক্ষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি ও শিক্ষক সমিতির সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকে জবির বাজেট বৃদ্ধি ও আবাসন সংকট নিরসন বিষয়ে আলোচনা হলেও দাবি মানা হয়নি বলে অভিযোগ তোলে শিক্ষার্থীরা।

তাদের ভাষ্যমতে, বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট দাবিগুলো যথাযথভাবে উপস্থাপন করলেও ইউজিসি বরাবরের মতোই দায়সারা আশ্বাস দিয়ে তাদের ফিরিয়ে দিয়েছে। সেখান থেকে ক্যাম্পাসে ফিরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সংগঠনের প্রতিনিধিরা একত্রে আলোচনা করে ‘লং মার্চ টু যমুনা’র ঘোষণা দেয়।

তিন দফা দাবিতে এই লংমার্চ করছে শিক্ষার্থীরা। তারা জানিয়েছে, দাবি না মানা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।

তাদের তিন দফা দাবি হলো—

১. আবাসনব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জবির ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করতে হবে।

২. জবির ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাঁটছাট না করেই অনুমোদন করতে হবে।

৩. জবির দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা গেছে, পুলিশি বাধার মুখে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় বসে পড়েছে। তাদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষকও রয়েছেন। লাঠিচার্জে হতাহতের খবর পাওয়া গেলেও আহতের সঠিক সংখ্যা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

জিসি / ০১