নিজস্ব প্রতিবেদক
মে ১৩, ২০২৫
০৮:০৭ অপরাহ্ন
আপডেট : মে ১৩, ২০২৫
০৮:০৮ অপরাহ্ন
সিলেটের ঐতিহ্যবাহী এমসি কলেজ ছাত্রবাসে ২০২০ সালের সংঘবদ্ধ ধর্ষণকাণ্ডের ঘটনার দুটি মামলার স্বাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুরে সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলার সাক্ষী হৃদয় পারভেজের সাক্ষগ্রহণের মাধ্যমে এ কার্য শুরু হয়েছে।
স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় দুটি মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালতের বিচারক স্বপন কুমার দাস পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১৯ মে দিন ধার্য করেন।
এর আগে উচ্চ আদালতের আদেশের পর মামলার নথিপত্র দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে আসার পর গত মঙ্গলবার (৬ মে) আদালতে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
এসব তথ্য সিলেট মিরর-কে নিশ্চিত করেন সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইবুন্যালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবুল হোসেন। তিনি জানান, সব আসামির উপস্থিতি হৃদয় নামের একজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত।
জানা গেছে, এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের মামলার নথিপত্র রোববার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের কর্মকর্তা গ্রহণ করেন। এর আগে গত ১৭ মার্চ সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলা বদলি করতে হাইকোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে আবেদন প্রত্যাহার করে নিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। ফলে সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ২০২০ সালে এক তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় দুই অভিযোগের বিচার চলবে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে।
হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন প্রত্যাহার করে নেয়ায় গত ১৭ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ খারিজ করে এ আদেশ দেন।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে এক তরুণীকে (২০) দল বেঁধে ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় তার স্বামী বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। ঘটনার পর আসামিরা পালিয়ে গেলেও তিন দিনের মধ্যে ছয় আসামি ও সন্দেহভাজন দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তী সময়ে আদালতে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
এদিকে, গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের ডিএনএ নমুনা পরীক্ষায় আটজন আসামির মধ্যে ছয়জনের ডিএনএর মিল পাওয়া যায়। ২০২১ সালের ৩ ডিসেম্বর ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা ও মহানগর পুলিশের শাহপরান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য।
আসামিরা হলেন- সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি, তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল, মিসবাউল ইসলাম ওরফে রাজন, রবিউল ও মাহফুজুর। আট আসামিই বর্তমানে কারাগারে। তারা সবাই ছাত্রলীগের টিলাগড়কেন্দ্রিক রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
চ্যানেল টোয়েন্টিফোর/ এএফ-০৩