হোটেল ‘রয়েল মার্ক’ হতে চায় পর্যটন নগর সিলেটের ল্যান্ডমার্ক

নিজস্ব প্রতিবেদক


মে ১৫, ২০২৫
০৩:১৮ অপরাহ্ন


আপডেট : মে ১৫, ২০২৫
০৩:২২ অপরাহ্ন



হোটেল ‘রয়েল মার্ক’ হতে চায় পর্যটন নগর সিলেটের ল্যান্ডমার্ক


নান্দনিক নির্মাণ শৈলীর হোটেলের রুমগুলোর ইন্টেরিয়র, ‘ক্রিমজ’ কফি লাউঞ্জ, ‘সুফরা’ রেস্টুরেন্টের আলো ছায়ায় খেলা আপনাকে মন্ত্রমুগ্ধ করবে। রুফটপ রেস্টুরেন্ট ‘আংরা’য় কফি হাতে বসে সূর্যাস্ত উপভোগ করতে করতে দেখে নিতে পারেন পাখির চোখে গোধূলি বেলায় পূণ্যভূমি সিলেটের রূপ। শুধু আধুনিক স্থাপত্যশৈলীর ইন্টেরিয়র আর আলোর খেলা নয় চিরচেনা বাংলা, থাই, চাইনিং খাবারের পাশাপাশি অথেনটিক টার্কিশ ও অ্যারাবিয়ান ডিশগুলো আপনাকে দেবে রসনায় নতুন অভিজ্ঞতা।


এক ছাদের নিচে এমন সব মনমুগ্ধকর আয়োজন নিয়ে পর্যটন নগর সিলেটে আগামী শুক্রবার সকাল ১১টায় আনুষ্ঠানিকভাবে দ্বার উন্মোচন করতে যাচ্ছে হোটেল ‘রয়েল মার্ক’। নগরের মিরবক্সটুলায় যাত্রা শুরু করছে প্রবাসী ও দেশি বিনিয়োগের আরেকটি স্মারক হতে যাওয়া ‘রয়েল মার্ক’।

সিলেটের ব্যস্ততম চৌহাট্টা পয়েন্ট ও নয়াসড়ক পয়েন্টে মধ্যবর্তী রাস্তার উত্তরপাশে আধুনিক নির্মাণশৈলীর রয়েল মার্ক হোটেল চিনে নিতে বেশি বেগ পেতে হবে না। পর্যটক ও প্রবাসীদের সুবিধার কথা চিন্তা করে এক ছাদের নিচে সব ধরণের সুবিধা নিশ্চিতে চেষ্টায় কমতি করেননি উদ্যোক্তারা। সিলেটের বাইরে থেকে আসা বোর্ডারদের বিমানবন্দর থেকে পিক আপ ও ড্র’প করা থেকে শুরু করে এয়ারলাইন্সের টিকে ইস্যুতে পাশে থাকবে তারা।


সরেজমিন দেখা গেছে, গ্রাহকদের কথা চিন্তা করে বাহারি নামের ও ডিজাইনের হোটেল স্যুটগুলোতে সাধ ও সাধ্যের সমন্বয়ে কমতি রাখা হয়নি। ডিলাক্স সিঙ্গেল, ডিলাক্স কাপোল, ডিলাক্স টু-ইন, সুপার ডিলাক্স কিং, সুপার ডিলাক্স টু-ইন থেকে রয়েল স্যুট পর্যন্ত বিভিন্ন সাইজের ও সুবিধার কক্ষগুলো থেকে গ্রাহক সহজেই নিজের চাহিদা অনুযায়ী বেছে নিতে পারবেন। এই হোটেলের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো যান্ত্রিক নগরে হোটেল কক্ষে বসেই আপনি সিটি ভিউ কিংবা হিল ভিউয়ের মজা পাবেন। দ্রুত নগরায়নে আধুনিক দালানের সমাহার যেমন দেখতে পাবেন তেমনি সিলেটের টিলার সীমা ছাড়িয়ে আপনার চোখে ধরা দেবে ভারতের মেঘালে পাহাড়ের আবছায়া আবয়ব।


রয়েল মার্ক হোটেলে রসনা বিলাসের জন্য তিনটি আলাদা ব্যবস্থা রয়েছে। এর মধ্যে হোটেলে প্রবেশ করেই লবির সঙ্গে পাবেন ‘ক্রিমজ’ নামের আধুনিক কফি লাউঞ্জ। প্রায় সব ধরণের কফির স্বাদ নেওয়া যাবে এখানে।

লিফটে ‘থ্রি’ চাপলেই দেখা মিলবে ‘সুফরা’ আলকার্ট রেস্টুরেন্টের। নান্দনিক ইন্টিরিয়রের রেস্টুরেন্টে বাংলা খাবারের পাশাপাশি ইন্ডিয়ান, থাই, চাইনিজ ও কন্টিনেন্টাল খাবারের বাহারি আয়োজন। খাবারের মান ও স্বাদের নিশ্চয়তা দিতে নিয়ে আসা হয়েছে অভিজ্ঞ শেফ। আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশে কাজ করার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন শেফের হাতের জাদু পরখ করে নেওয়া যাবে এখানে। সারাদিন সব শ্রেণির গ্রাহকরা এখানে সেবা পাবেন। তবে হোটেলের বর্ডাররা ২৪ ঘন্টার সার্ভিস পাবেন এখানে।

খাবারের অর্ডার দিলেন। সেটি কোন পরিবেশে তৈরি হচ্ছে, স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে তো? এমন প্রশ্নের উত্তর চোখের সামনেই মেলে ধরতে- লাইভ বারবিকিউ কিচেন। স্বচ্ছ কাঁচের ওপারে পুরো কিচেনই উন্মুক্ত। এমন সুবিধা ও আত্মবিশ^াস নিয়ে রয়েল মার্কের রুফটপে সাজানো হয়েছে ‘আংরা রেস্টুরেন্ট’। খোলা আকাশের নিচে কৃত্রিম ও প্রাকৃতির সৌন্দর্যের সমন্বয়ে ‘আংরা’য় বসে বসে শেষ বিকেল, গোধূলী লগ্ন কিংবা কোনো এক পূর্ণিমা রাতের সৌন্দর্য উপভোগ মন্দ লাগবে না। সঙ্গে বন্ধুদের নিয়ে বারবিকিউ পার্টিও করে ফেলা যাবে। অথেনটিক টার্কিশ, অ্যারাবিয়ান ও ইন্ডিয়ান ডিশ মিলবে এখানে। ‘লাহাম মান্দি’, চিকেন মাজবুসের মতো অ্যারাবিয়ান খাবার, সিকান্দারের রানের মতো ইন্ডিয়ান ডিশ কিংবা টার্কিশ প্লেটারে মিলবে অথেনটিক স্বাদ। 


অনুষ্ঠান, সভার মতো আয়োজনেও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে রয়েল মার্কের সুফিয়ানা বেনকুইট হলে। রাউন্ড টেবিল স্টাইলের প্রোগ্রামে ৮০ জনের অধিক আবার থিয়েটার স্টইলে অনুস্ঠানে ১২০ জনের বেশি অতিথি সংকুলান হবে এখানে। সব মিলিয়ে এক ছাদের নিচে দারুণ আয়োজনের নাম ‘রয়েল মার্ক’।

রয়েল মার্কের ভাইস চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান চৌধুরী সিলেট মিরর-কে বলেন, ‘সিলেট প্রথমত প্রবাসী অধ্যুষিত তার উপর পর্যটন নগর। এ দুটি বিষয়কে মাথায় রেখে আমরা প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলেছি। যাতে আমাদের প্রবাসীরা এবং পর্যটকরা মানসম্পন্ন সেবা, নিরাপদ ও সাবলীল পরিবেশ পান সেই বিষয়টিকে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছি। ব্যবসার পাশাপাশি রয়েল মার্ক সিলেটের পর্যটনে ভূমিকা রাখবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’



এএফ/০১