অবরোধের দ্বিতীয় দিনে সিলেটে যান চলাচল বাড়লেও দূরপাল্লার যাত্রীরা দুর্ভোগে

সিলেট মিরর ডেস্ক


নভেম্বর ০৬, ২০২৩
০৫:২৪ অপরাহ্ন


আপডেট : নভেম্বর ০৬, ২০২৩
০৫:২৪ অপরাহ্ন



অবরোধের দ্বিতীয় দিনে সিলেটে যান চলাচল বাড়লেও দূরপাল্লার যাত্রীরা দুর্ভোগে


বিএনপি-জামায়াতের ডাকা দ্বিতীয় দফার অবরোধের শেষ দিনে আজ সোমবার গতকালের তুলনায় নগরে ব্যস্ততা কিছুটা বেশি। তবে সিলেট থেকে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। শহরের ভেতরে এবং শহর থেকে বিভিন্ন প্রান্তে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও প্রাইভেট কার চলাচল করছে, যদিও সংখ্যায় তা স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় অনেক কম।

আজ সকাল ৮টায় সিলেট নগরের কদমতলী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, বাসের কাউন্টারগুলো খোলা থাকলেও কোনো বাস ছেড়ে যাচ্ছে না। কদমতলীর শ্যামলী পরিবহনের বাস কাউন্টারের টিকিট বিক্রেতা সায়েম আহমদ বলেন, তাঁদের বাস ছাড়া হচ্ছে না। তবে পরিস্থিতি তাঁরা পর্যবেক্ষণ করছেন। অন্যরা বাস ছাড়লে তাঁরাও ছাড়বেন।

কদমতলী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে বাস ছেড়ে না গেলেও কয়েকটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় মৌলভীবাজার ও কুলাউড়ার যাত্রী তোলা হচ্ছিল। চালকেরা ডেকে ডেকে যাত্রী খুঁজছিলেন।

একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় দুজন যাত্রী বসে ছিলেন। তাঁদের মধ্যে রাজেশ রায় নামের এক যাত্রী বলেন, জরুরি প্রয়োজনে তিনি কুলাউড়ায় যাচ্ছেন। সাধারণ দিনে বাসে যাতায়াত করলেও অবরোধের কারণে আজ বাস ছাড়ছে না। এ জন্য বাধ্য হয়ে বাস থেকে তিন গুণ ভাড়া বেশি গুনে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় যেতে হচ্ছে।

নগরের হুমায়ূন রশীদ চত্বর এলাকায় একটি মাইক্রোবাসে করে ঢাকার যাত্রী তুলছিলেন চালকের সহকারী দিনার আহমদ। তিনি বলেন, মাইক্রোবাসে ১০ জন যাত্রী নিতে পারেন তিনি। প্রতি যাত্রীর কাছে এক হাজার টাকা করে নিচ্ছেন। সকালে ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে এসেছিলেন। ফিরতি পথে আরও কিছু যাত্রী নিয়ে যাচ্ছেন। অবরোধের সময় সমস্যা হয় কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি বুঝেই গাড়ি নিয়ে রওনা দিয়েছি। পথে তেমন একটা সমস্যা হয়নি।’

ঢাকার মিরপুর–১০ এলাকার বাসিন্দা রাজীব হোসেন বলেন, ৩ নভেম্বর তিনি সিলেটে এসেছিলেন। ব্যবসায়িক কাজ শেষ করতে অবরোধ শুরু হয়ে গেছে। ট্রেনে যাওয়ার জন্যও কোনো টিকিট কাটতে পারেননি। আজ রাতের আগেই তাঁর ঢাকায় পৌঁছানো দরকার। এ জন্য তিনি সকালে যানবাহনের খোঁজে বের হয়েছিলেন। এর মধ্যে ঢাকাগামী মাইক্রোবাস পাওয়ায় তিনি কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছেন।

সকাল সোয়া ৮টার দিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের লালাবাজার এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, মহাসড়কে কিছু সময় পরপর প্রাইভেট কার ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা যাতায়াত করছে। সঙ্গে মোটরসাইকেলও ছিল অনেক।

সকাল পৌনে ৯টার দিকে সিলেট উপশহর মোড় এলাকায় দাঁড়িয়েছিলেন ইয়াসিন আহমদ। তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তিনি বলেন, অন্যান্য দিন নগরের ভেতরে গণপরিবহন হিসেবে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে কর্মস্থলে যেতেন। অবরোধের কারণে সেটি বন্ধ আছে। এখন বেশি ভাড়া দিয়ে অটোরিকশা নিতে হয়।

সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখ বলেন, সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সিলেট মহানগর এলাকায় কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশ তৎপর আছে।




প্রথম আলো/এএফ-০৩