ওসমানীনগরে ব্যস্ত সময় প্রতিমাশিল্পীদের, ৩৪টি মণ্ডপে হবে দুর্গাপূজা

উজ্জ্বল ধর, ওসমানীনগর


অক্টোবর ১৬, ২০২৩
০৬:২৮ অপরাহ্ন


আপডেট : অক্টোবর ১৭, ২০২৩
০৮:২২ অপরাহ্ন



ওসমানীনগরে ব্যস্ত সময় প্রতিমাশিল্পীদের, ৩৪টি মণ্ডপে হবে দুর্গাপূজা


বেজে উঠেছে দেবীপক্ষের বাজনা। মণ্ডপে মণ্ডপে চন্ডীপাঠের মাধ্যমে মর্ত্যলোকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে দেবী দুর্গাকে। আর মাত্র তিন দিন পরেই সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। সিলেটের ওসমানীনগরে প্রতীমার গায়ে তুলির শেষ আঁচড় দিতে ব্যস্ত এখন প্রতিমাশিল্পীরা।

প্রতিমা তৈরির পাশাপাশি অনেক পূজামন্ডপে এখন চলছে সাজসজ্জার বর্ণিল আয়োজন। প্রতিমার সৌন্দর্য্যতা চাকচিক্য নিয়ে বিভিন্ন পূজামন্ডপের মধ্যে চলছে নীরব প্রতিযোগিতা। ওসমানীনগরে এ বছর ৩৪টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এরমধ্যে সার্বজনীন ২৮টি ও ব্যক্তিগত ৬টি।  

ওসমানীনগরে প্রতিবারই প্রতিমা তৈরিতে দেখা যায় নতুনত্ব। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। মন্ডপের সাজসজ্জাতেও এবার থাকছে নানা চমক। মূর্তি তৈরীতে ভিন্নতা আনতে অনেকে ভারত থেকেও মৃৎশিল্পী আনিয়েছেন।

দিনাজপুর থেকে প্রতিমা তৈরী করতে ওসমানীনগরে এসেছেন কারুশিল্পী হরিবল আচার্য্য। তার সঙ্গে সহযোগী রয়েছেন আরও চারজন। রাতদিন পরিশ্রম করে তৈরি করছেন দুর্গা, লক্ষ্মী, স্বরস্বতী, কার্তিক, গনেশ, অসুর, মহিষ, সিংহের মৃন্ময় মূর্তি। মূর্তি তৈরিতেও রয়েছে আধুনিকতার ছোঁয়া। কোন কোন মন্ডপে দেবী দুর্গার এবারের আগমন ও গমনের প্রতিকি ঘটনাসহ পৌরাণিক কাহিনীকে নানা আদলে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। দেবদেবীর প্রতিমা পাশাপাশি পৌরাণিক নানা চরিত্রের মূর্তি দিয়েও মন্ডপ সাজানোর কাজ এগিয়ে চলেছে। বিদ্যুতের সাহায্যে দেখানো হবে দেবরাজ্যের নানা কাহিনী।

কলকাতার প্রসিদ্ধ মৃৎশিল্পী হরগোপাল রায় বলেন, 'এবারে সিলেটসহ বাংলাদেশে ১২টি প্রতিমা তৈরি করেছি। প্রতিমা সুন্দর হলে আগামী দিনেও আমার চাহিদা বাড়বে। এজন্য প্রতিমা সুন্দর করতে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি।'

ওসমানীনগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি চয়ন পাল বলেন, 'শারদীয় দুর্গোৎসবকে ঘিরে পূজামন্ডপগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে প্রশাসন। পাশাপাশি আমাদের উদ্যোগে ১৫ সদস্যের একটি মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে। যারা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় রেখে পূজামন্ডপের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখবেন।'

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নীলিমা রায়হানা বলেন, 'শারদীয় দুর্গাপূজা সফল ভাবে উদযাপনের জন্য প্রশাসন থেকে সব ধরণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রতিটা পূজা কমিটিকে ইতোমধ্যে ৫শ' কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। উপজেলার ৩৪টি কমিটির সাথে বৈঠক করে পূজার বিষয়ে সার্বিক খোঁজ নেওয়া হয়েছে। সবচেয়ে বেশী গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থায়। পূজাকালিন সময়ে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হবে। যে কোন সমস্যায় কন্ট্রোল রুমের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন যে কেউ। পূজামন্ডপের নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশ- আনসার- ভিডিপি সদস্যরা সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবে।'


এএফ/১০