সিলেট মিরর ডেস্ক
আগস্ট ২৫, ২০২৩
১১:৫৬ অপরাহ্ন
আপডেট : আগস্ট ২৫, ২০২৩
১১:৫৬ অপরাহ্ন
ছুটির দিনে সিলেট বেড়াতে আসার পথে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদীতে প্রাণ হারিয়েছেন ৭ জন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৪ জন।
নিহতের মধ্যে একজন আল আমিন। সিলেটে বেড়াতে আসার আগের দিন ছোটভাইকে ফোন করে জানিয়েছিলেন সিলেট বেড়াতে আসার কথা। কিন্তু সিলেট পর্যন্ত আসা হয়নি তার, পথেই হারালেন প্রাণ।
প্রাণ হারানো আল আমিনের ছোট ভাই আসিফ খান বলেন, ‘আমি শ্রীমঙ্গলে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। গতকাল ভাইয়ের সঙ্গে কথা হয়। তিনি ফোনে বলেন, ‘আমরা সিলেটে বেড়াতে আসতেছি, ভাই তুমি থাইকো’, কিন্তু ভাই আর আসলেন না।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের জন্মস্থান টাইঙ্গালে। চাকরির সুবাদে এখানে থাকি। আমার ভাই অবিবাহিত ছিলেন। আমাদের তিন ভাইয়ের মধ্যে আল-আমিন সবার বড়।’
যারা মারা গেছেন, তাদের সবাই আল আমিনের বন্ধু বলে জানান আসিফ।
এ ঘটনায় নিহতদের প্রত্যেকের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন টাঙ্গাইলের সবুজ মিয়া, ঝালকাঠির আল আমিন হাওলাদার, টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের আল আমিন, মাদারীপুরের আব্দুল আওয়াল, বরিশালের আরিয়ান ওরফে রায়হান, জামালপুরের রাজু মিয়া ও গাড়ির চালক কুষ্টিয়ার সদর থানার বাবুল মোল্লা।
প্রাণ হারানো আরেকজনের নাম রাজু মিয়া। তার চাচা-শ্বশুর ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘ফেসবুকে দেখে মর্গে এসেছি। এখানে এসে আমার ভাতিজির জামাইকে শনাক্ত করি। তারা বন্ধুরা সবাই সিলেট ভ্রমণে যাচ্ছিল।’
দুর্ঘটনা সম্পর্কে বিআরটিএ নরসিংদীর সহকারী পরিচালক শেখ ইমরান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, ‘ঘটনাস্থল দেখে মনে হচ্ছে হাইওয়েতে মাইক্রোবাসটি দ্রুতগতিতে চলছিল। ট্রাক কিন্তু ট্রাকের জায়গায় আছে।’
নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মাহমুদুল কবীর বাসার জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহত যাত্রীদের মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
এএফ/১০