কুলাউড়া প্রতিনিধি
জুন ১৯, ২০২২
১১:২৯ অপরাহ্ন
আপডেট : জুন ১৯, ২০২২
১১:২৯ অপরাহ্ন
ভয়াবহ বন্যায় কুলাউড়া উপজেলার প্রায় দুই হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। হাকালুকি হাওরের পানি বৃদ্ধি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে এ উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন বন্যাকবলিত হয়েছে।
শনিবার (১৮ জুন) রাতে প্লাবিত হয়ে যায় কুলাউড়া উপজেলা এলাকা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য দুটি ফিডারের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ঘোষণা করেছে কুলাউড়া বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুলাউড়া বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ওসমান গণি।
তিনি জানান, বন্যার পানির বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার ইসলামগঞ্জ এবং জুড়ীর নার্সারি ফিডারের বিদ্যুৎ সরবরাহ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এতে কাদিপুর, ভূকশিমইল, শশারকান্দি ইসলামগঞ্জ ও জুড়ী উপজেলার জায়ফর নগর ইউনিয়নের আংশিক কয়েকটি গ্রামে বিদ্যুৎ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে।
তিনি আরও জানান, পানি কমে গেলে ওই দুই ফিডারের বিদ্যুৎ পুনরায় চালু করা হবে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, কুলাউড়া উপজেলায় অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নদ-নদীসহ হাকালুকি হাওরের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভূকশিমইল, ভাটেরা, জয়চন্ডী, ব্রাহ্মণবাজার, কাদিপুর, ও কুলাউড়া সদরসহ সাতটি ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
এ ছাড়া কর্মধা ইউনিয়নের মহিষমারা গ্রামের ফানাই নদীর বাঁধ ভেঙে মহিষমারা, বাবনিয়া, হাশিমপুর, ভাতাইয়া, পুরশাই গ্রামগুলো প্লাবিত হয়েছে। অর্ধশতাধিক গ্রামের প্রায় দুই হাজার পরিবার পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে। গ্রামগুলোর সঙ্গে বিদ্যুৎ-সংযোগ ও যোগাযোগব্যবস্থা প্রায় বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে।
বিএ-০২