মধ্যপ্রাচ্য করোনার চতুর্থ ঢেউয়ের মধ্যে : ডব্লিউএইচও

সিলেট মিরর ডেস্ক


জুলাই ৩০, ২০২১
০৮:০০ অপরাহ্ন


আপডেট : জুলাই ৩০, ২০২১
০৮:০০ অপরাহ্ন



মধ্যপ্রাচ্য করোনার চতুর্থ ঢেউয়ের মধ্যে : ডব্লিউএইচও

মধ্যপ্রাচ্য বর্তমানে করোনার চতুর্থ ঢেউ পার করছে। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার  (ডব্লিউএইচও) পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক পরিবর্তিত ধরন ডেল্টার প্রভাবে মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে ব্যাপকভাবে বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত রোগী ও মৃতের সংখ্যা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল শাখার পরিচালক ডা. আহমেদ আল মান্ধারি বৃহস্পতিবার এক বিবৃতি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের ডেল্টা ধরনের প্রভাবে ভূমধ্যসাগর উপকূলের এশীয় দেশসমূহসহ গোটা মধ্যপ্রাচ্যে প্রতিদিন বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত রোগী ও এ রোগে মৃতের সংখ্যা। আমরা এখন করোনার চতুর্থ ঢেউয়ের মধ্যে আছি।’

ইরান, ইরাক, তিউনিসিয়া ও লিবিয়ায় করোনার প্রকোপ সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে ডা. আল মান্ধারি বলেন, ‘গত প্রায় চার সপ্তাহ বা এক মাস ধরে এই চারটি দেশে প্রতিদিন গড়ে ৩ লাখ ১০ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন, মারা যাচ্ছেন গড়ে ৩ হাজার ৫০০ জন। এর আগের মাসের তুলনায় গত চার সপ্তাহে এই দেশসমূহে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ৫৫ শতাংশ, মৃত্যুর হার বেড়েছে প্রায় ১৫ শতাংশ।’

‘পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যের দেশসমূহের হাসপাতালগুলোতে গত একমাসে বেড়েছে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ধারণক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত রোগী থাকায় কোনো কোনো হাসপাতাল নতুন রোগী ভর্তি করা বন্ধ করে দিয়েছে। অনেক হাসপাতালে পর্যাপ্ত শয্যা, স্বাস্থ্যকর্মী ও মেডিকেল অক্সিজেনের মজুত না থাকায় মানবিক বিপর্যয়কর পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে।’

মধ্যপ্রাচ্যে টিকাদান কর্মসূচি আরও ব্যাপক হওয়া প্রয়োজন উল্লেখ করে ডব্লিউএইচও’র পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের প্রধান বলেন, ‘যতদিন পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মানুষকে টিকার আওতায় আনা সম্ভব না হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত পরিস্থিতির উন্নতির আশা কম।’

ডব্লিউএইচও’র তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যে করোনা টিকার ডোজ সম্পূর্ণ করেছেন ৪ কোটি ১০ লাখ মানুষ, যা এশিয়ার ওই অঞ্চলের মোট জনসংখ্যার মাত্র ৫ দশমিক ৫ শতাংশ।

টিকার ডোজ সম্পূর্ণ করা ব্যক্তিদের ৪০ শতাংশই মধ্যপ্রাচ্যের উন্নত দেশসমূহের নাগরিক। শতকরা হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যের উন্নত দেশসমূহের মোট জনসংখ্যা ওই অঞ্চলের মোট জনসংখ্যার মাত্র ৮ শতাংশ।

বি এন-০৩