খালেদা জিয়া আগামী সপ্তাহে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরতে পারেন

সিলেট মিরর ডেস্ক


এপ্রিল ৩০, ২০২১
১২:৩৮ পূর্বাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ৩০, ২০২১
০১:১১ পূর্বাহ্ন



খালেদা জিয়া আগামী সপ্তাহে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরতে পারেন

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে বলে জানিয়েছেন তার মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসক ডা. জাহিদ হোসেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আজকে ম্যাডামকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলাম। তার অবস্থা স্থিতিশীল আছে।’

বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) রাতে ডা. জাহিদ এ কথা জানান। তিনি বলেন, ‘আজকেও মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকদের নির্দেশনা অনুযায়ী ম্যাডামের অনেকগুলো পরীক্ষা করা হয়েছে। সেইগুলো রিপোর্টও ভালো এসেছে। এখন বাকি পরীক্ষাগুলো হলে তার রিপোর্ট পর্যালোচনা করবেন চিকিৎসকরা। সেই অনুযায়ী তার পরবর্তী চিকিৎসার সিদ্ধান্ত হবে।’

কবে বাসায় আনা হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. জাহিদ বলেন, ‘ম্যাডামের সবগুলো পরীক্ষা শেষে ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা পর্যালোচনা করবেন। এরপর তাকে বাসায় আনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে। আমরা আশা করি, আগামী সপ্তাহ নাগাত বাসায় ফিরতে পারবেন।’

খালেদা জিয়ার চিকিৎসকরা বলছেন, এখন খালেদা জিয়ার আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস ও হাঁটুর প্রতিস্থাপনের চিকিৎসা চলছে। ফলে, তার অনেকগুলো পরীক্ষা করতে হচ্ছে। যার মধ্যে কিছু পরীক্ষা করতে এবং রিপোর্ট পেতে এক দিনের বেশি সময় লাগছে। তাই তার সবগুলো পরীক্ষা শেষে হতে আগামী শনিবার (১ মে) পর্যন্ত সময় লাগবে। এরপর মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা সবগুলো পরীক্ষা রিপোর্ট পর্যালোচনা করতে বৈঠক বসবেন। এরপর আগামী রবি-সোমবার (২ অথবা ৪ মে) তাকে বাসায় নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

খালেদা জিয়ার আরেক ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. আল মামুন বলেন, ‘এখন ম্যাডামের চিকিৎসা চলছে ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে। ফলে, আগামীতে কোন পদ্ধতি বা কোথায় তার চিকিৎসা হবে সেটার নির্ধারণ হবে মেডিকেল বোর্ডের সমন্বিত সিদ্ধান্তে।’ 

গত মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) রাতে খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার (২৮ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে ডা. জাহিদ জানান, খালেদা জিয়ার করোনা আক্রান্ত হলে তাকে নন-করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছেন।

উল্লেখ্য, গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। তার বাসভবন ফিরোজার আরও আটজন ব্যক্তিগত স্টাফও আক্রান্ত হন। বর্তমানে তিনিসহ চারজন করোনা আক্রান্ত আছেন।

বিএ-১০