সিলেট মিরর ডেস্ক
এপ্রিল ২৭, ২০২১
০৮:৪৫ অপরাহ্ন
আপডেট : এপ্রিল ২৭, ২০২১
০৮:৪৫ অপরাহ্ন
ভারতে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরও অধিকাংশের দেহেই তৈরি হচ্ছে না করোনা প্রতিরোধী প্রোটিন বা অ্যান্টিবডি।
যাদের দেহে তৈরি হচ্ছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ৫-৬ মাসের মধ্যে দুর্বল বা অকার্যকর হয়ে পড়ছে এই প্রতিরোধী শক্তি।
কাউন্সিল ফর সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (সিএসআইআর) নামের একটি ভারতীয় গবেষণা সংস্থার সাম্প্রতিক সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে।
সিএসআইআরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ভারতে করোনার অতি উচ্চ সংক্রমণের অন্যতম কারণ এটি।
সংস্থাটির গবেষক শান্তনু সিংহ বলেন, ‘মানবদেহের নিউক্লিওক্যাপসিড প্রোটিনই মূলত সার্স-কোভ-২ ভাইরাস বা করোনাভাইরাসের মূল প্রতিরোধী শক্তি। অনেকের দেহে সহজাতভাবেই এর শক্তিশালী উপস্থিতি থাকে, আবার অনেকের দেহে এই প্রোটিন যথাযথ কার্যকর হয় করোনায় প্রথমবার আক্রান্ত হওয়ার পর।’
তিনি জানান, গত মার্চে এই বিষয়ক একটি সমীক্ষা পরিচালনা করেছে সিএসআইআর। ভারতের সতেরটি রাজ্য ও দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ১০ হাজার ৪২৭ জন স্বেচ্ছাসেবী এই সমীক্ষায় অংশ নেন।
স্বেচ্ছাসেবীদের সবারই করোনায় আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়ে ওঠার অভিজ্ঞতা রয়েছে। সমীক্ষায় দেখা গেছে, মাত্র ১০ দশমিক ১৪ শতাংশের দেহে করোনা প্রতিরোধী প্রোটিন নিউক্লিওক্যাপসিডের উপস্থিতি রয়েছে।
কিন্তু সমীক্ষায় আরো দেখা গেছে—নিউক্লিওক্যাপসিড প্রোটিনের উপস্থিতি রয়েছে এমন ব্যক্তিদের ২০ শতাংশের দেহে এই প্রতিরোধী প্রোটিন আছে দুর্বল বা প্রায় অকার্যকর অবস্থায়।
শান্তনু সিংহ বলেন, ‘বিষয়টি খুবই উদ্বেগজনক। কারণ, ভাইরাসের বিরুদ্ধে স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে না উঠলে শুধুমাত্র টিকা বা ওষুধের সাহায্যে করোনা দমন করা খুবই কঠিন।’
বি এন-০২