দেশের বিভিন্ন স্থানে হেফাজতের তাণ্ডবের প্রতিবাদে সিলেটে বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক


এপ্রিল ০১, ২০২১
০২:২৮ পূর্বাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ০১, ২০২১
০২:৩২ পূর্বাহ্ন



দেশের বিভিন্ন স্থানে হেফাজতের তাণ্ডবের প্রতিবাদে সিলেটে বিক্ষোভ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সংগীত বিদ্যালয়, গণগ্রন্থাগারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে উগ্র-সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী হেফাজতে ইসলামের হামলা-লুটপাট-অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে সিলেটে সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী সিলেট জেলা সংসদ ও চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র সিলেট জেলা। 

বুধবার (৩১ মার্চ) বিকেল ৪টায় যৌথভাবে সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের সামনে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী সিলেট জেলা সংসদের সভাপতি এনায়েত হাসান মানিকের সভাপতিত্বে ও চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র সিলেট জেলার আহবায়ক নাজিকুল ইসলাম রানার পরিচালনায় সভায় সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন কবি ও গবেষক এ কে শেরাম, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন সুমন, বাসদ সিলেট জেলার সমন্বয়ক আবু জাফর, উদীচী সিলেট জেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক রতন দেব, গণজাগরণ মঞ্চ সিলেটের মুখপাত্র দেবাশীষ দেবু, বিজ্ঞান আন্দোলন মঞ্চ সিলেট জেলার সমন্বয়কারি প্রণব জ্যোতি পাল, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট সিলেট মহানগর আহ্বায়ক সঞ্জয় শর্মা, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন সিলেট মহানগরের নেতা মনীষা ওয়াহিদ। 

এছাড়াও সংহতি জানান, সংক্ষুব্ধ নাগরিক আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল করিম কিম, বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী অনিমেষ বিজয় চৌধুরী, উদীচী সিলেট জেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা. অভিজিৎ দাশ, যুব ইউনিয়ন সিলেট জেলার সন্দীপ দেব, চারণ সিলেট জেলার আরিফুর রহমান, ঊষা’র পরিচালক নিগাত সাদিয়া, কবি মেকদাদ মেঘ, গানের দল ভাবুক এর সাজ্জাদ হোসাইন, পল্লবী দাস, সাংস্কৃতিক ইউনিয়নের প্রদ্যুত দাস, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের শফিকুল ইসলাম কাজল প্রমুখ।

এসময় বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনকালে স্বাধীনতা বিরোধী উগ্র-সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী হেফাজতে ইসলামের আস্ফালন কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। স্বাধীনতা দিবসকে কেন্দ্র করে যারা বিভিন্নস্থানে পরিকল্পিত হামলা লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে জনগণের জানমালের ক্ষতি সাধন করেছে তাদের সবাইকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। সেই সঙ্গে দেশে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি আইন করে নিষিদ্ধ করতে হবে।’ 

এসময় স্বাধীনতার চেতনার বিপরীতে নয় বরং মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনার ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে সরকারকে জোর দাবি জানানো হয়।

বিএ-০৮