নিজস্ব প্রতিবেদক
মার্চ ১১, ২০২১
০২:০৬ পূর্বাহ্ন
আপডেট : মার্চ ১১, ২০২১
০২:১৯ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞান লেখক ও ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ (৩২) হত্যা মামলার সাক্ষ্য দিয়েছেন অনন্তের ভগ্নিপতি আইনজীবী সমর বিজয় সী শেখর। বুধবার (১০ মার্চ) সিলেটের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য গ্রহণের নির্ধারিত তারিখ ছিল।
মামলার কারাবন্দী দুই আসামির উপস্থিতিতে সমর বিজয় সী শেখর মামলার ১৯তম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন। তার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল আমিন বিপ্লব ২৩ মার্চ পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেছেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী এমাদ উল্লাহ শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আলোচিত এ মামলায় এ পর্যন্ত ২৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে। বাকি ১০ জনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ তিনজন সাক্ষী রয়েছেন। এই তিনজন হচ্ছেন সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান চিকিৎসক, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একজন পরিদর্শক ও সিআইডির তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ। ২৩ মার্চ এ তিনজনের সাক্ষ্য দেওয়ার কথা।’
আদালত সূত্রে জানা যায়, বুধবার ১৯তম সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণকালে কারাবন্দী আবুল খায়েরকে সিলেট কারাগার থেকে ও শফিউর রহমান ফারাবীকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে সিলেটের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২০১৫ সালের ১২ মে সিলেট নগরের সুবিদবাজারের কলাপাড়া এলাকার নিজ বাসার সামনে খুন হন অনন্ত বিজয় দাশ। বিজ্ঞান নিয়ে লেখালেখির পাশাপাশি তিনি ‘যুক্তি’ নামে বিজ্ঞানবিষয়ক একটি পত্রিকা সম্পাদনা করতেন। এছাড়া বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন অনন্ত।
হত্যাকাণ্ডের এক দিন পর অনন্তের বড় ভাই রত্নেশ্বর দাশ বাদী হয়ে সিলেট বিমানবন্দর থানায় অজ্ঞাত চারজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। এতে বিজ্ঞান বিষয়ে লেখালেখির কারণে অনন্তকে ‘উগ্র ধর্মান্ধ গোষ্ঠী’ পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে বলে অভিযোগ করা হয়।
মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিদের মধ্যে কানাইঘাটের আবুল হোসেন (২৫), খালপাড় তালবাড়ির ফয়সাল আহমদ (২৭) ও সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের বিরেন্দ্রনগরের (বাগলী) মামুনুর রশীদ (২৫) পলাতক। কানাইঘাটের পূর্ব ফালজুর গ্রামের মান্নান ইয়াইয়া ওরফে মান্নান রাহী ওরফে এ বি মান্নান ইয়াইয়া ওরফে ইবনে মঈন (২৪) মৃত্যুবরণ করেছেন। আরেক আসামি সিলেট নগরের রিকাবীবাজার এলাকায় বসবাসকারী সাফিউর রহমান ফারাবী ওরফে ফারাবী সাফিউর রহমান (৩০)। তিনি ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলারও আসামি।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবীরা জানান, গত বছরের ৭ মে সিলেটের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে এই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। কিন্তু সাক্ষীদের অনুপস্থিতির কারণে বারবার পেছানো হয় সাক্ষ্য গ্রহণ। দীর্ঘদিন সিলেটের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ চলার পর মামলাটি সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়।
এনএইচ/বিএ-০৭