নাবিল হোসেন
ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২১
০৫:৪১ পূর্বাহ্ন
আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২১
০৫:৪১ পূর্বাহ্ন
সিলেট নগরজুড়ে রয়েছে মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কার ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার অসংখ্য অবৈধ স্ট্যান্ড। অনেক সড়কের দুই পাশেই রাখা হচ্ছে যানবাহন। এতে এসব স্থানে যানজটে মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এছাড়া হাসপাতাল, হোটলেসহ বিভিন্ন স্থাপনাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠছে নতুন স্ট্যান্ড। অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদ করতে গেলে হামলার শিকার হচ্ছেন জনপ্রতিনিধিসহ প্রশাসনের ব্যক্তিরা। পরিবহন শ্রমিকদের কাছে নগরবাসী এক প্রকার জিম্মি বলেই মনে করেন অনেকে।
নগরের ব্যস্ততম চৌহাট্টা পয়েন্টকে ঘিরে আছে দুটি কার ও মাইক্রোবাস স্ট্যান্ড। চারটি সড়কের সংযোগস্থল সিলেট নগরের আম্বরখানা পয়েন্ট। এই পয়েন্টের চারটি মোড়ে গড়ে উঠেছে চারটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা স্ট্যান্ড। আম্বরখানার আশপাশে আছে আরও একাধিক স্ট্যান্ড। শুধু আম্বরখানা থেকে মজুমদারি পর্যন্ত রয়েছে ৪টি সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ড। নগরের হৃদপিণ্ড খ্যাত কোর্ট পয়েন্ট ঘিরে রয়েছে চারটি স্ট্যান্ড। একইভাবে প্রায় সবগুলো গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে একাধিক স্ট্যান্ড গড়ে উঠেছে দীর্ঘদিন ধরে। পাশাপাশি নগরের যে সড়কই সম্প্রসারিত হচ্ছে সেখানেই গড়ে উঠছে অবৈধ স্ট্যান্ড। তবে নগর এলাকায় ঠিক কতটি অবৈধ স্ট্যান্ড রয়েছে তার হিসেব নেই সিলেট সিটি করপোরেশনের কাছে। পুলিশের হিসেবে প্রায় দেড়শ অবৈধ স্ট্যান্ড রয়েছে নগরে।
সিলেট নগরে সার্ভিস গাড়ির সংখ্যা সরকারি হিসেবে দুশোর মতো। কিন্তু বাস্তবে সিলেট নগরে এমন গাড়ির সংখ্যা কয়েক হাজার। নগরের অন্তত ২৭টি জায়গায় সড়ক দখল করে গড়ে উঠা অবৈধভাবে স্ট্যান্ডে প্রতিদিন এসব গাড়ি সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে ‘সার্ভিস গাড়ি’ হিসেবে চলাচল করছে। ফলে যানজট এখন নগরবাসীর নিত্যসঙ্গী।
প্রবাসী বহুল সিলেটে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এখন গাড়ির বহুমূখী ও বহুল ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় পরিস্থিতির আরও অবনতি হচ্ছে। নগরে প্রাইভেট গাড়িগুলোও এখন অবৈধভাবে গাড়ি ভাড়া ব্যবসায় ঝুঁকে পড়েছে। ফলে একের পর এক অবৈধ স্ট্যান্ড গড়ে ওঠছে। এসব যানবাহনের জন্য কোন নির্দিষ্ট স্ট্যান্ড স্থাপন না হওয়ায় যানজট সমস্যার সমাধান যেমন হচ্ছে না তেমনি নগরবাসীর দুর্ভোগ কমছে না।
সরজমিন অনুসন্ধানে দেখা যায়, নগরীর সুবিদবাজার, চৌহাট্টা, শাহী ঈদগাহ, নাইওরপুল, শাহজালাল ব্রিজ, ধোপাদিঘীরপার, টিলাগড়, কদমতলী, ওসমানী এয়ারপোর্ট এবং শহরতলীর কুমারগাঁও,শাহপরান, ও চন্ডিপুল এলাকায় ১৬টি অবৈধ স্ট্যান্ড রয়েছে। এরমধ্যে ভিআইপি সড়ক চৌহাট্টায়ই রয়েছে ৫টি লাইটেস স্ট্যান্ড।
অন্যদিকে নগরের কোর্টপয়েন্ট, রংমহল পয়েন্ট, আম্বরখানা, মেডিকেল রোড, সোবহানীঘাট, উপশহর, টিলাগড়, মদীনা মার্কেট, ওসমানী এয়ারপোর্ট এলাকায় ১১টি স্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন পাড়া মহল্লার মোড়ে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে ফোরস্ট্রোক অটোরিক্সা এবং টেম্পু স্ট্যান্ড। ব্যস্ততম আম্বরখানা এলাকায় এরকম স্ট্যান্ড রয়েছে চারটি। নগরের সোবহানীঘাট, মেন্দিবাগ, সরকারি পাইলট স্কুলের সামনে, শেখঘাট, সার্কিট হাউজ রোড, দর্শনদেউড়ি এবং আলমপুরে রয়েছে ট্রাকের অবৈধ স্ট্যান্ড। সিলেটের অন্যতম ব্যস্ত ভিআইপি সড়ক হচ্ছে চৌহাট্রা-আম্বরখানা সড়ক। বর্তমানে এই সড়কের দু-পাশ দখল করে অন্তত ৩০০টি প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাস রাখা হয়। এসব স্ট্যান্ড নিয়ন্ত্রণ করে পৃথক পৃথক সমিতি।
নগরের সুবিদবাজারস্থ প্রাইমারি ট্রেনিং ইন্সটিটিউটের সামনেও একটি স্ট্যান্ড গড়ে উঠেছে। এখন এখানে গাড়ির সংখ্যা ৬০/৬৫ টি।
সিলেটের একমাত্র শিশু পার্ক রয়েছে সিলেটের ধোপাদিঘীরপার এলাকায়। কিন্তু এ পার্কের সামনেও গড়ে তোলা হয়েছে গাড়ির স্ট্যান্ড। এখানে পার্কের সামনজুড়ে সবসময়ই মাইক্রোবাস পার্কিং করা থাকে। সিলেট-তামাবিল সড়কের রংমহল পয়েন্টে ফোরস্ট্রোক ও টেম্পু স্ট্যান্ড সড়কের একটি বিরাট অংশ জুড়ে থাকায় সব সময়েই এ এলাকায় যানজট লেগে থাকে।
নগরের আরেকটি ব্যস্ততম এলাকা নাইওরপুল পয়েন্ট। এখানে দীর্ঘদিন ধরে সড়কের একটি অংশ দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে স্ট্যান্ড। এখানে গাড়ির সংখ্যা অর্ধশতাধিক। একইভাবে নগরের দক্ষিণ সুরমার কদমতলী এলাকায় এবং শাহজালাল ব্রিজ এলাকায়, রেল স্টেশন এলাকায় রয়েছে আরো চারটি স্ট্যান্ড। একইভাবে মিরাবাজার, শিবগঞ্জ, উপশহর এলাকায়ও বড় স্ট্যান্ড গড়ে ওঠেছে।
জানা গেছে, নগরীর ২৭ টি স্থানে গড়ে ওঠা এসব স্ট্যান্ড নিয়ন্ত্রণ করার জন্য রয়েছে পৃথক সমিতি। সমিতির সবাই শ্রমিক ইউনিয়নের সঙ্গে জড়িত। আর টাকাও আদায় করা হয় শ্রমিক ইউনিয়নের নামে। এসব স্ট্যান্ডে গাড়ি রাখতে হলে সমিতিগুলোকে বিভিন্ন হারে মাসোহারা দিতে হয়।
নগরের বেশিরভাগ সড়কেরই এমন দশা। সড়ক দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে অটোরিকশা ও মাইক্রোবাস স্ট্যান্ড। নগরে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মাইক্রোবাসের প্রায় অর্ধশত স্ট্যান্ড রয়েছে। যদিও এর একটিরও বৈধতা নেই। সড়ক দখল করে গড়ে তোলা এসব অবৈধ স্ট্যান্ডের কারণে তীব্র হচ্ছে যানজট। আবার স্ট্যান্ডের মাধ্যমে সিন্ডিকেট করে ভাড়া বৃদ্ধিরও অভিযোগ আছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়ছেন যাত্রীরা।
এসব অবৈধ স্ট্যান্ডের সঙ্গে পরিবহন শ্রমিক নেতাদের পাশাপাশি, স্থানীয় প্রভাবশালী ও অনেক রাজনৈতিক নেতা জড়িত রয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদের প্রভাবেই সড়ক দখল করে স্ট্যান্ড বানিয়ে বছরের পর বছর ধরে দিব্যি ব্যবসা পরিচালনা করা হচ্ছে। এছাড়া হাসপাতাল, হোটেলসহ বিভিন্ন স্থাপনার সামনে গড়ে উঠেছে ছোট ছোট আরও অবৈধ স্ট্যান্ড। এসব জায়গায় স্ট্যান্ডের গাড়ি ছাড়া অন্য কোনো গাড়ি যাত্রী তুললে চালক ও যাত্রীদের হেনস্থা করেন স্ট্যান্ডের দায়িত্বরতরা।
১৯৮৩ সালের মটরযান অধ্যাদেশের ধারা ২(৩) অনুযায়ী, প্রাইভেট গাড়িকে সার্ভিস হিসেবে ব্যবহার করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ অধ্যাদেশ অনুসারে, সার্ভিস গাড়িগুলোর রঙ হতে হবে কালো ও হলুদ এবং নম্বর প্লেটের মধ্যে সাদার মধ্যে কালো লেখা থাকতে হবে। বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের জন্য গাড়ির মালিককে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি থেকে লাইসেন্স নিতে হয়। কিন্তু নগরে এসবের তোয়াক্কা কেউই করছে না।
সিলেট নগরে কতটি অবৈধ স্ট্যান্ড আছে জানতে সিসিকের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হানিফুর রহমান এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ঠিক কতটি অবৈধ স্ট্যান্ড আছে সে বিষয়ে কোনো পরিসংখ্যান নেই।’ তবে সিসিক এলাকায় কোনো বৈধ স্ট্যান্ড নেই বলে তিনি নিশ্চিত করেন।
গত বুধবার নগরের চৌহাট্টা এলাকায় ফুটপাত ও সড়ক বিভাজক নির্মাণ করতে গিয়ে পরিবহন শ্রমিকদের হামলার মুখে পড়েন মেয়র, কাউন্সিলর, ম্যাজিস্ট্রেট ও সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করতে গেলে পুলিশের ওপরও হামলা করেন পরিবহন শ্রমিকেরা। সংঘর্ষে কাউন্সিলর-পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন।
রিকাবীবাজার এলাকার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তা এ. এস ফজলুল করিম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নগরে চলছে বিভিন্ন সড়ক সম্প্রসারণের কাজ। নগরের অনেক বাসিন্দা তাদের লাখ লাখ টাকার জায়গা ছেড়ে দিচ্ছেন নগরের উন্নয়নের স্বার্থে। অনেকের সীমানা দেওয়াল ভেঙ্গে বাসা-বাড়ির জায়গা নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বাসা-বাড়ি ভেঙ্গে সড়ক সম্প্রসারণ করা হলেও পরিবহন শ্রমিকরা এসব সড়ক দখল করে অবৈধ স্ট্যান্ড গড়ে তুলছেন।
আম্বরখানার ব্যবসায়ী নাজিকুল রানা সিলেট মিররকে বলেন, ‘আম্বরখানায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার অবৈধ স্ট্যান্ডের কারণে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা খুব বিরক্ত। প্রতিদিন পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে কোনো না কোনো ব্যবসায়ীর ঝগড়া-বিবাদ লাগছে। তাদের উচ্ছৃঙ্খল আচরণের কাছে আমরা অসহায় এবং জিম্মি। অদৃশ্য কারণে প্রশাসনকেও অসহায় মনে হচ্ছে।’
শিক্ষার্থী তৌহিদ জানান, সড়ক দখল করে স্ট্যান্ড গড়ে তোলায় রিকাবীবাজার-চৌহাট্টা সড়কে প্রায়ই যানজট লেগে থাকে। সড়ক দখল করে থাকার পরও এসব অবৈধ স্ট্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রশাসন কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে নাÑ প্রশ্ন রাখেন তিনি।
নগরের কাজলশাহ এলাকায় পপুলার ডায়গনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসা নিতে আসা রহিম উদ্দিন বলেন, ‘এখান থেকে নয়াসড়ক যেতে নিয়মিত ভাড়া ৬০ টাকা। তবে স্থানীয় স্ট্যান্ডের সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকরা ১০০ টাকা দাবি করছেন। তাদের স্ট্যান্ডের অটোরিকশা ছাড়া অন্য কোনো গাড়িতে উঠতেও দেয় না তারা।’
দীর্ঘদিন ধরে নগরের নাইওরপুল এলাকায় সড়ক দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে অবৈধ মাইক্রোবাস স্ট্যান্ড। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এ বি এম জিল্লুর রহমান উজ্জ্বল সিলেট মিররকে বলেন, ‘নাইওরপুলের এ স্ট্যান্ড দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে। এর ফলে ফুটপাত দিয়ে চলাচলে পথচারীদের কষ্ট হচ্ছে। এখান থেকে সরিয়ে বিকল্প স্থানে স্ট্যান্ড স্থাপনের পরিকল্পনা করছেন সিসিক মেয়র। একটি জায়গা নির্ধারিত হয়ে গেলে স্ট্যান্ড তুলে তাদেরকে সেখানে নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী বলেন, ‘অবৈধ স্ট্যান্ডগুলো নগরের প্রধান সমস্যা। আমরা ফুটপাত দখল করে স্থাপন করা স্ট্যান্ড পর্যায়ক্রমে সরিয়ে দেব। স্ট্যান্ডের জন্য জায়গা পেলে সেখানে স্থানান্তরিত করা হবে।’
নগর থেকে অবৈধ স্ট্যান্ড সরাতে সবচেয়ে বেশি ভ‚মিকা জনগণকে রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেন সিসিকের এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘নাগরিকরা যখন নিজেদের দায়িত্ববোধ সম্পর্কে সচেতন হবেন, তখন নগর এমনি সুন্দর হয়ে উঠবে।’
এ বিষয়ে মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) জ্যোর্তিময় সরকার পিপিএম সিলেট মিররকে বলেন, ‘আমার জানামতে নগরের মাইক্রোবাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা স্ট্যান্ডগুলোর কোনো বৈধতা নেই। এসব অবৈধ স্ট্যান্ড তুলতে ট্রাফিক বিভাগ কাজ করছে। কিছুদিন আগেও আমরা ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে থাকা স্ট্যান্ড তুলে দিয়েছি। সড়কে পথচারী ও যাত্রীদের স্বস্তিতে চলাচলের জন্য ট্রাফিক বিভাগে সব ধরনের কাজ চলছে।’
সিলেটের অবৈধ স্ট্যান্ড সরাতে আন্তরিক সিলেট মহানগর পুলিশের বর্তমান উপ কমিশনার (ট্রাফিক) ফয়সল মাহমুদ। একাধিকবার নিজে উদ্যোগী হয়েছেন স্ট্যান্ড সরাতে। চৌহাট্টা এলাকায় তাকেও পরিবহন শ্রমিকদের বাঁধার মুখে পড়তে হয়েছে। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘সিলেট নগর এলাকায় বিভিন্ন ধরণের যানবাহনের প্রায় দেড়শ অবৈধ স্ট্যান্ড রয়েছে। আমার জানা মতে তিনটি বাস স্ট্যান্ড ও একটি ট্রাক স্ট্যান্ড ছাড়া এখানে আর কোনো বৈধ স্ট্যান্ড নেই।’
অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘চালক ও হেলপারদের মধ্যে এখানে পেশিশক্তি প্রদর্শনের একটা প্রবণতা রয়েছে। যে কারণে এখানে কিছু করা যাচ্ছে না।’ সড়কে কোনো ধরণের স্ট্যান্ড করার সুযোগ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাজ হচ্ছে সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়ন করা। আইনের ৫৯ এর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাস্তায় কোনো ধরণের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না। প্রতিবন্ধকতা তৈরি করলেই আমাদের কাজ আইন প্রয়োগ করা। কিন্তু আমরা তা করতে গেলে পরিবহন শ্রমিকরা ধর্মঘট করে মানুষকে কষ্ট দেয়। মানুষ কষ্টে পড়–ক সেটাও আমরা চাই না।’ এসব সরাতে সবার সম্মিলিত সহযোগিতা প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সিটি করপোরেশন চাচ্ছে অবৈধ স্ট্যান্ডগুলো সরাতে। বিকল্প হিসেবে পার্কিংয়ের জায়গাও খুঁজছে দীর্ঘদিন ধরে। কিন্তু পাচ্ছে না। তারা যখনই আমাদের সহযোগিতা চেয়েছে আমরা দিয়েছি। আগামীতেও দিতে প্রস্তুত। তবে এসব সরাতে সব মহলের সহযোগিতা প্রয়োজন।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরাও ভাবছি। ইতোমধ্যে ট্রাক টার্মিনাল বড় করে অন্যত্র নেয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালেও উন্নয়ন কাজ করে বড় করা হয়েছে। ছোট গাড়িগুলোর জন্য ইতোমধ্যে চারটি জায়গা নির্ধারণের জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি গাড়ি চলাচলের ক্ষেত্রে আমরা ভিন্ন পরিকল্পনা নিচ্ছি। আশা করছি শিগগিরই এসবের সমাধান করা যাবে।’
এনএইচ/বিএ-২২