নিজস্ব প্রতিবেদক
ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২১
০৪:০১ পূর্বাহ্ন
আপডেট : ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২১
০৪:০১ পূর্বাহ্ন
কোম্পানীগঞ্জের কিশোর হৃদয় মিয়া (১৫) হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে আটক করা হয়েছে। আসামিরা হত্যার সঙ্গে নিজেদের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকারও করেছে।
সিলেটের পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন আহমদ বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) এ বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং করেন। তিনি জানান, গত বুধবার কোম্পানীগঞ্জ থানার একদল পুলিশ প্রযুক্তির সহায়তায় এক আসামির অবস্থান নিশ্চিত হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বড়াইল গ্রামে অভিযান চালায়। আসামি সাদ্দাম হোসেন সেখানে আত্মগোপনে ছিলো। সাদ্দাম হোসেন কোম্পানীগঞ্জের টুকেরগাঁও এর হেবজো মিয়ার ছেলে।
তার প্রাথমিক জবানবন্দিতে আরও দুইজনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। পরে কোম্পানীগঞ্জ থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা হচ্ছে, কোম্পানীগঞ্জের নয়াগঙ্গেরপাড় গ্রামের আব্দুর ছত্তারের পুত্র মিজান আহমদ ও টুকেরগাঁও এর বাছির মিয়ার পুত্র সুমন মিয়া। বৃহস্পতিবার তাদেরকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
গত ৩১ জানুয়ারি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার নয়াগাঙ্গেরপাড় ধলাই নদীর তীর থেকে অজ্ঞাত হিসেবে ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশের পরিচয় শনাক্তের জন্য বিভিন্ন এলাকার মসজিদে মাইকিং করা হয়। পরে জানা যায় লাশটি উপজেলার পশ্চিম ইসলামপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আউওয়াল মিয়ার পুত্র হৃদয়ের। গত জানুয়ারির ২৭ তারিখ সে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়।
এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হৃদয়ের বন্ধু নয়ন ও রুহুল আমিনকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তারা জানায় অপর বন্ধু সাদ্দাম হোসেনের চলাচল ছিল। পরে নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করে সাদ্দামের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। গত বুধবার তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় সাদ্দামের অবস্থান নিশ্চিত হয় পুলিশ।
এসএইচ/বিএ-১৬