জৈন্তাপুর প্রতিনিধি
ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২১
০১:৫৪ পূর্বাহ্ন
আপডেট : ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২১
০১:৫৪ পূর্বাহ্ন
সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে জৈন্তাপুরের বাঘের সড়কের ধামড়ী সেতু থেকে নদীতে ট্রাক পড়ে সংঘটিত দুর্ঘটনায় নিহতদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল রবিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ভোর সাড়ে ৬টায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট বন্দরহাটি গ্রামের আব্দুস সোবহানের ছেলে এবাদুর রহমান খোকন (২৭) ও গোয়াইনঘাট উপজেলার নলজুরী পশ্চিমপাড়া গ্রামের মাহতাব হোসেনের ছেলে রাসেল আহমদ (৩৫)।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি নিয়ে রবিবার রাতেই নিহতদের নিজ নিজ গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়। মর্মান্তিক এ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারে শোকের মাতম চলছে।
রবিবার ভোরে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানার পুলিশ ও জৈন্তাপুর ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তাগণ ঘটনাস্থলে ছুটে যান। জৈন্তাপুর ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র ফায়ার ফাইটার মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে ৭ জন কর্মকর্তা সকাল ৭টা থেকে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত দীর্ঘ সাড়ে ৩ ঘণ্টা চেষ্টা করে নদীতে পড়ে থাকা ট্রাকের দরজা ভেঙে নিহতদের লাশ উদ্ধার করেন।
এলাকাবাসী ও উদ্ধারকারী সূত্রে জানা যায়, ভোররাতে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা জৈন্তাপুর অভিমুখী ট্রাক (ঢাকা-মেট্রো-ট-২৪-১০০০) সিলেট-তামাবিল সড়কের ধামড়ী সেতু সংলগ্ন এলাকায় এসে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। ঘটনাস্থলেই ট্রাকের চালক ও বড় নয়াগাং নদীর বালু ব্যবসায়ী নিহত হন।
জৈন্তাপুর ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র ফায়ার ফাইটার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, 'আমরা দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। আমরা অনেক চেষ্টা করে ট্রাকের ভেতর থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করি। নদীতে পানির গভীরতা ও কাদামাটি থাকায় আমাদেরকে উদ্ধার কাজ করতে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। স্থানীয় জনগণের সহযোগিতায় ট্রাকের দরজা ভেঙে লাশ দুটি উদ্ধার করেছি।'
আরকে/আরআর-০৫