চৌহাট্টায় মেয়রের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের বিক্ষোভ, অবরোধ

নিজস্ব প্রতিবেদক


ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২১
০৪:৩৮ পূর্বাহ্ন


আপডেট : ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২১
০৪:৩৮ পূর্বাহ্ন



চৌহাট্টায় মেয়রের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের বিক্ষোভ, অবরোধ

নগরের চৌহাট্টায় অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছে পরিবহন শ্রমিকরা। শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী অভিযান চালালে শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করে। এ সময় তারা মেয়ররের বিরুদ্ধে স্লোগানও দেয়। এদিকে সড়ক অবরোধের কারণে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

সিসিক সূত্রে জানা গেছে, নগরের চৌহাট্টা-আম্বরখানা সড়ক সম্প্রসারণ ও ফুটপাত নির্মাণের কাজ করছে সিলেট সিটি করপোরেশন। এই সড়কের চৌহাট্টা এলাকায় ফুটপাত দখল করে অবৈধ স্ট্যান্ড তৈরি করেছে কার ও মাইক্রোবাস শ্রমিকরা। সিটি করপোরেশন ও মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে একাধিকার এই স্ট্যান্ড উচ্ছেদ করা হলেও আবারও গাড়ি নিয়ে ফুটপাত দখল করে নেন শ্রমিকরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই স্ট্যান্ড উচ্ছেদে যান। এসময় মেয়রের সামনেই বিক্ষোভ শুরু করেন পরিবহন শ্রমিকরা। তারা মেয়রের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে মিছিল করতে থাকেন। এক পর্যায়ে সড়কে বাঁশ ফেলে, তাদের গাড়ি রেখে যান চলাচল বন্ধ করে দেন। এতে প্রায় এক ঘণ্টা এই সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। ফলে আম্বরখানা থেকে বন্দর, ওসমানী মেডিকেল থেকে কুমারপাড়া রাস্তায় যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। হঠাৎ করে সংগঠিত অবরোধে বিপাকে পড়ের গাড়িতে থাকার জনসাধারণ। পরে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে পুলিশ, সিসিকের বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা ও পরিবহন শ্রমিক নেতারা এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন। তবে ওই স্ট্যান্ড উচ্ছেদ করা যায়নি।  

আন্দোলনকারী একাধিক শ্রমিক অভিযোগ করে জানান, এই স্থানে তারা দীর্ঘদিন ধরে গাড়ি পার্কিং করছেন। এখন গাড়ি রাখার জন্য বিকল্প জায়গার ব্যবস্থা না করেই তাদের হয়রানি করা হচ্ছে। এর প্রতিবাদে তারা বিক্ষোভ করছেন।

এদিকে অবরোধ তুলার পর সিসিক মেয়র, কাউন্সিলর, সিসিকের কর্মকর্তা ও পরিবহন শ্রমিক নেতারা ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ তৌফিকুল হাদির অফিসে এক বৈঠকে বসেন। রাতে সিসিকের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ তৌফিকুল হাদি সভার বিষয়ে সিলেট মিররকে বলেন, ‘পরিবহন শ্রমিক নেতারা বলেছেন গাড়ি রাখার জন্য নতুন জায়গা নির্ধারণের জন্য তাদের ২ দিন সময় দিতে। সিসিক তাদের আগামী রবি ও সোমবার সময় দিয়েছে। আগামী মঙ্গলবার থেকে আবার আমাদের কাজ শুরু হবে।’

তবে শনিবার রাতে এ বিষয়ে কথা বলতে সিলেট জেলা বাস মিনিবাস, কোচ, মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি হাজী ময়নুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

এনএইচ/বিএ-১৮