হতাশার দিনে বিকেলটা স্বস্তির

সিলেট মিরর ডেস্ক


ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২১
০১:০০ পূর্বাহ্ন


আপডেট : ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২১
০১:০০ পূর্বাহ্ন



হতাশার দিনে বিকেলটা স্বস্তির

লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজের জুটি বাদ দিলে ব্যাটিংয়ে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের প্রাপ্তি শূন্য। হ্যাঁ, মুশফিকুর রহিম হাফসেঞ্চুরি পেয়েছেন, কিন্তু তার আউট তীরের মতো বিঁধেছে ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে। জগাখিচুড়ি এমন ব্যাটিংয়ের দিন শেষ বিকেলে বাংলাদেশের বোলাররা একটু আশা জাগিয়েছেন। তৃতীয় দিন দ্বিতীয় ইনিংসে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৩ উইকেট তুলে নিয়েছে তারা।

মিরপুরে শনিবার বাংলাদেশকে ২৯৬ রানে প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে ১১৩ রানের লিড পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দলটি ৩ উইকেট হারিয়ে ৪১ রানে দিন শেষ করেছে। লিড ১৫৪ রানের।

দ্বিতীয় ইনিংসে প্রথম উইকেট নেন নাঈম। চতুর্থ ওভারে ব্রাথওয়েটকে (৬) লিটন দাসের ক্যাচ বানান।

পরের উইকেটটি মেহেদী হাসান মিরাজের। ২০ বলে ৭ রান করা মোয়েসলিকে ফেরান তিনি। ১৭তম ওভারে আঘাত হানেন তাইজুল ইসলাম। বোল্ড করেন জন ক্যাম্পবেলকে (১৮)।

প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ের সময় বাংলাদেশের যে পরিস্থিতি হয়েছিল, তাতে আড়াইশ পার করা কঠিন মনে হচ্ছিল। টপঅর্ডারের ব্যর্থতার পর ইনিংসের সপ্তম উইকেটের জুটিতে লিটন দাস এবং মেহেদী হাসান মিরাজ ২৫৫ বলে ১২৬ রানের জুটি গড়ে বিপদ সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু সফরকারী বোলারদের তোপের মুখে জুটি আর বড় করতে পারেননি তারা।

রাকিম কর্নওয়াল ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো ৫ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন।

কর্নওয়ালের বলে ব্ল্যাকউডের হাতে ক্যাচ দেয়ার সময় লিটন ছিলেন ৭১ রানে। তিনি ফেরার পর এসেই আউট হন নাঈম (০)। তাকেও ফেরান কর্নওয়াল। শেষ আশা মেহেদী হাসান মিরাজকে আউট করেন গ্যাব্রিয়েল। ১৪০ বলে ৫৭ রান করেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান।

বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হওয়ার কথা ২৯০ রানে। শেষ জুটিতে মিডউইকেটে দেওয়া তাইজুল ইসলামের শিশুতোষ ক্যাচ ফেলেন ব্রাথওয়েট! তাইজুল (১৩*) জীবন পাওয়ার পর আরও ৬ রান করেন। কিন্তু আবু জায়েদ রাহি (১) আর টিকতে পারেননি।

মিরপুরে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪০৯ রানে অলআউট হওয়ার পর শুক্রবার ১০৫ রান তুলতে ৪ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিমের (২৭) সঙ্গে অপরাজিত ছিলেন মোহাম্মদ মিঠুন (৬)।

শনিবার সকালে মিঠুন ১৫ রান করে পথ ধরেন। দীর্ঘদেহী রাকিম কর্নওয়ালকে ডিফেন্স করতে গিয়ে শর্টে ক্যাচ দেন। ছয় নম্বরে নামা মিঠুন ৮৬ বলে ২ চারে এই রান করেন।

মুশফিক বিদায় নেন অর্ধশতকের পরপর। ব্যক্তিগত ৫৪ রানের মাথায় ওই কর্নওয়ালকে রিভার্স সুইপ খেলতে যান তিনি! ম্যাচের এই পরিস্থিতিতে চাপ কমাতে অমন একটি শট তার বিদায়ের কারণ। ১০৫ বল খেলে ধরা পড়েন মেয়ার্সের হাতে।

বিএ-১৪