ফেঞ্চুগঞ্জে সেতুর অপেক্ষায় ৫০ বছর পার

শহিদ আহমদ চৌধুরী, ফেঞ্চুগঞ্জ


ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২১
১১:৫২ অপরাহ্ন


আপডেট : ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২১
১২:২১ পূর্বাহ্ন



ফেঞ্চুগঞ্জে সেতুর অপেক্ষায় ৫০ বছর পার

সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ৪ নম্বর উত্তর কুশিয়ারা ইউনিয়নের কটালপুর এলাকার রত্না নদীর খালের উপর একটি সেতুর অভাবে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে প্রায় ৩ হাজারের বেশি পরিবার। রত্না নদীর উত্তরদিকে উত্তরপাড়া, সোনাপুর ও আটঘর গ্রামে প্রায় ১০ হাজারের মতো মানুষের বসবাস। এখানে একটি সেতু নির্মাণের দাবি বছরের পর বছর ধরে উচ্চারিত হলেও গত ৫০ বছরে এখানে কোনো সেতু নির্মাণ হয়নি। তাই এলাকার মানুষজন ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের শীতে বাঁশের সাঁকো দিয়ে ও বর্ষায় নৌকায় চড়ে পারাপার হতে হয়। গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ কম সময়ে প্রধান সড়ক বা বাজারে যেতে এই রাস্তা ব্যবহার করেন। অন্যথায় ঘুরে গেলে বেশ সময় লেগে যায়। গ্রামগুলোকে প্রধান সড়ক থেকে আলাদা করে রেখেছে এই খালটি।

সরেজমিনে দেখা যায়, পারাপারের জন্য লোকজনকে ব্যবহার করতে হচ্ছে বাঁশের সাঁকোটি। প্রায় ১৬০ ফুটের মতো প্রস্থের সাঁকোটি বাঁশের জোড়া খুঁটিতে তৈরি। প্রায় ৫ ফুট আড়াআড়ি করে জোড়া বাঁশ দিয়ে তৈরি এ সাঁকো। উপরে রেলিং হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে বাঁশ।

উত্তরপাড়া গ্রামের কয়েকজন নারীকে দেখা যায় তারা প্রয়োজনীয় কাজ সেরে এসে পৌঁছেছেন সেতুর মুখে। তারা বলেন, এই সাঁকোই আমাদের সেতু। বর্ষা বা শীত মৌসুম, সবসময় এই সেতুই ভরসা। আজ পর্যন্ত আমরা তিন গ্রামের মানুষ একটি সেতু পাইনি। তাই বাধ্য হয়ে বাচ্চা-কাচ্চাসহ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই সাঁকো ব্যবহার করতে হচ্ছে।

বর্ষায় নৌকা আর শীত মৌসুমে এই সাঁকো। সাঁকোয় ভরসা করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয় ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের। যেকোনো সময় ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা। ইতোমধ্যে স্থানীয়ভাবে তৈরি এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপারের সময় অনেকেই দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার প্রকৌশলী মোজাম্মেল হোসেন জানান, তিনি উপজেলায় নতুন এসেছেন। তাই তিনি এ বিষয়ে অবগত নন। তিনি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে জানান।

 

এসএ/আরআর-০১