সিলেট মিরর ডেস্ক
ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২১
০৮:১৩ পূর্বাহ্ন
আপডেট : ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২১
০৮:১৩ পূর্বাহ্ন
বাংলাদেশে প্রতিবছর অসংক্রামক রোগে প্রায় ৫ লাখ ৭৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়; যা মোট মৃত্যুর ৬৭ শতাংশ। আর অসংক্রামক রোগে মৃত্যুবরণকাীদের মধ্যে ৩০ শতাংশেরই মৃত্যুর কারণ হৃদরোগ। প্রতিবছর দেশে হৃদরোগে মৃত্যু হয় ২ লাখ ৭৭ হাজার মানুষের। যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
ট্রান্সফ্যাট ও হৃদরোগ ঝুঁকি বিষয়ে সিলেটে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় এই তথ্য তুলে ধরেছেন বিশেষজ্ঞরা।
বুধবার সিলেট নগরের সোবহানিঘাটস্থ একটি হোটেলের সভাকক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। সাংবাদিক, ক্যাব সদস্য ও স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন এনজিওর কর্মকর্তা কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর (জিএইচএআই), ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ এবং গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞার (প্রগতির জন্য জ্ঞান) সহযোগিতায় কনজিউমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এ কর্মশালা আয়োজন করে।
কর্মশালায় বিশেষজ্ঞরা জানান, শিল্পোৎপাদিত ট্রান্সফ্যাট জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি। মাত্রাতিরিক্ত ট্রান্সফ্যাট গ্রহণই উচ্চহারে হৃদরোগ ও হৃদরোগজনিত মৃত্যুর অন্যতম কারণ। ভোক্তা স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে সব ধরনের ফ্যাট, তেল এবং খাদ্যদ্রব্যে ট্রান্সফ্যাটের সর্বোচ্চ সীমা মোট ফ্যাটের ২ শতাংশ নির্ধারণ এবং তা কার্যকর করার দাবি জানান তারা।
ক্যাব সিলেট শাখার সভাপতি জামিল চৌধুরীর সভাপতিত্বে কর্মশালায় আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে আলোকপাত করেন ক্যাবের প্রোজেক্ট কো-অর্ডিনেটর খন্দকার তৌফিক আল হোসাইনী ও প্রজ্ঞার ট্রান্সফ্যাট বিষয়ক প্রোজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মাহমুদ আল ইসলাম শিহাব।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, ‘ট্রান্সফ্যাটযুক্ত খাবার রক্তে কোলেস্টেরল বা এলডিএল বাড়িয়ে দেয়। অপরদিকে এইচডিএল কমিয়ে দেয়। এর ফলে রক্তবাহী ধমনিতে চর্বি জমে রক্ত চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। ট্রান্সফ্যাট খাবারের কারণে স্ট্রোক এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিস আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ে এবং উচ্চমাত্রায় ট্রান্সফ্যাট গ্রহণের কারণে সার্বিকভাবে মৃত্যু ঝুঁকি ৩৪ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ২১ শতাংশ এবং হৃদরোগজনিত মৃত্যু ঝুঁকি ২৮ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়।
কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা মুহিউদ্দিন, সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম, সুনীল সিংহ, মিসবাহ উদ্দিন চৌধুরী, আব্দুল্লাহ আল নোমান, আবু বকর সিদ্দিকসহ ক্যাব সিলেটের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা।
আরসি-০৫