ফেঞ্চুগঞ্জ প্রতিনিধি
ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২১
০১:০০ পূর্বাহ্ন
আপডেট : ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২১
০১:০০ পূর্বাহ্ন
সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সদ্যঘোষিত আহ্বায়ক কমিটি প্রত্যাখান করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলা যুবদলের নতুন কমিটিতে পদপ্রাপ্তের একাংশ ও বঞ্চিতরা।
আজ বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ফেঞ্চুগঞ্জ প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নতুন কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক এম জে জাবেদ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৮ বছর পরে গত ৮ ফেব্রুয়ারি ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা যুবদলের ৪১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেয় সিলেট জেলা যুবদল। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, একেবারে অরাজনৈতিক, অপরিচিত ও বিশেষ ব্যক্তির পছন্দের লোকদের দিয়ে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়, যা অনৈতিক ও দলীয় শৃঙ্খলার পরিপন্থী। অবাক করা বিষয়, ঘোষিত কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে জাসদ ছাত্রলীগ থেকে আসা জামায়াতের এজেন্ট আব্দুল কাদির জিলাকে। উপজেলা বিএনপির সদস্য আহমেদ জিলুকে উপজেলা যুবদলের প্রথম যুগ্ম-আহ্বায়ক করা হয়েছে যা সত্যি হাস্যকর।
লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন, ঘোষিত কমিটির এক তৃতীয়াংশ লোক বহিরাগত যাদেরকে কমিটির লোকজন চিনতেই পারেননি। কমিটিতে স্থান পেয়েছেন অটোরিকশাচালক, শ্রমিক ও প্রবাসীরা। কমিটিতে সুস্পষ্টভাবে রয়েছে জামায়াত, জাতীয় পার্টি ও ছাত্রলীগের সাবেক কর্মীরা।
তিনি আরও বলেন, জামায়াতের কর্মী আতিক আহমেদ চৌধুরী ছাত্রশিবিরের সাথী ছিলেন। সদস্যপদ পাওয়া শেখ মো. জাকারিয়া, কামরুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান পিন্টু, জাহাঙ্গীর আলম, ইন্তাজ মিয়া, রঞ্জিত দাস এরা জাতীয়তাবাদী পরিবারের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। অথচ যুবদলের সম্মুখসারির যোদ্ধাদের সিভি গ্রহ করেও অপমান, অবমূল্যায়ন করে পদবঞ্চিত করা হয়েছে, যা সত্যি দুঃখজনক।
দলের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে গ্রুপিংবাজদের স্বার্থ হাসিল করা কমিটি প্রত্যাখান করে ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে তিনি বলেন, যুবদলের যোগ্য, ত্যাগী, কারাবরণকারী, নির্যাতিত সিনিয়র, জুনিয়র সদস্যদের সমন্বয় করে নতুনভাবে কমিটি ঘোষণা করতে হবে। অন্যথায় সকলে মিলে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবো।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মাজহারুল ইসলাম রাসেল, সাইফুল ইসলাম খান, নাছির উদ্দিন লিটন, মতিউর রহমান মুকুল, সামাদ হোসেন রুমেল, দিনার আহমদ শাহ, উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ছুটন, যুবদল নেতা রিকন আহমদ চৌধুরী তুহিন, ফখরুল ইসলাম নিশাত, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব শাহিন আহমেদ, যুগ্ম-আহ্বায়ক বদরুল ইসলাম খান, নুরুল ইসলাম নাহিদ, মো. আলী রাসেল, কমল হাসান বাবর, শাওন আহমেদ, আখলাকুল করিম রিমন, হাছন আলী, সুজন আহমদ, আরিফ করিব, বাবুল মিয়া, দাহিরুল করিম রানা, ফেঞ্চুগঞ্জ প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক মামুনুর রশীদ, সিনিয়র সদস্য দেলোয়ার হোসেন পাপ্পু, আরকে দাস চয়ন, ফরিদ উদ্দিন, মুস্তাফিজুর রহমান কিনেল, রুমেল আলী, সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল নোমান, আব্দুস সালাম, আসিফ ইকবাল ইরন, সামি হায়দার প্রমুখ।
এসএ/আরআর-০২