বিশ্বনাথ প্রতিনিধি
ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২১
০১:১৪ পূর্বাহ্ন
আপডেট : ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২১
০১:১৪ পূর্বাহ্ন
সিলেটের বিশ্বনাথে 'মিথ্যা মামলার' হয়রানি থেকে প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে আবেদন করেছেন রামপাশা ইউনিয়নের পুরানগাঁও গ্রামের গৌছ আলীর ছেলে ও স্থানীয় শাহ আমিন উল্লাহ মাদরাসার সুপার মো. ছাদিকুর রহমান। গতকাল রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) তিনি একই গ্রামের মৃত আরফান আলীর ছেলে সিরাজ আলীর বিরুদ্ধে বার বার মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ এনে তা থেকে প্রতিকার চেয়ে এ আবেদন করেন।
আবেদনে ছাদিকুর রহমান উল্লেখ করেন, সিরাজ আলী মামলাবাজ প্রকৃতির লোক। তিনি ২০০৫ সালে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা (জিআর ১০৯/০৫) দায়ের করেন, যার রায় আমাদের পক্ষে আসে। ২০০৯ সালে সিরাজ আলী তার পরিত্যক্ত ঘর পুড়িয়ে বিশ্বনাথ থানায় মিথ্যা অভিযোগ দেন। থানার তদন্ত কর্মকর্তা সাক্ষ্য-প্রমাণ নিয়ে অভিযোগের কোনো সত্যতা পাননি। সিরাজ আলীরা ০.০৮ শতক ভূমির মালিক অথচ আমার পিতার মালিকানাধীন মৌরসী ভূমিতে তিনি তার নামে ০.১৬ শতক ভূমির সাইনবোর্ড টানান। আমরা তাতে বাধা দিলে সিরাজ আলীর বাহিনী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদেরকে হত্যার উদ্দেশে আক্রমণ করে। এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (নং-৬৫৩/২১) করি। এর ধারাবাহিকতায় সিরাজ আলীরা গত ২৭ জানুয়ারি সিলেটের আদালতে আমাদের ও আমাদের মেহমানদের ওপর মিথ্যা মামলা (জিআর ২৭/২১) দায়ের করেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, আমরা ৮০ হাজার টাকার কদম গাছ, ৫০/৬০ হাজার টাকার বিভিন্ন প্রজাতির চারাগাছ ও ৪০ হাজার টাকার বাউন্ডারি দেয়াল ভেঙে ফেলেছি। প্রকৃতপক্ষে সেখানে কোনো ধরনের গাছ বা চারাগাছ ছিল না। আর বাউন্ডারি দেয়ালও ভাঙা নয়।
এ ব্যাপারে কথা হলে সিরাজ আলী বলেন, তারাই (ছাদিকুর রহমানরা) আমার বিরুদ্ধে দুই-তিনটা মিথ্যা মামলা করেছে। আমার জায়গার দলিল-পর্চা সবই আছে। তারা গায়ের জোরে আমার জায়গার গাছ কাটায়, দেয়াল ভাঙায় আমি অপারগ হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছি।
আবেদনের বিষয়ে কথা বলতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বর্ণালী পালের মুঠোফোনে কল দিলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
এমএ/আরআর-০৩