বেড়েই চলেছে চালের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক


জানুয়ারি ৩০, ২০২১
০৮:২৪ অপরাহ্ন


আপডেট : জানুয়ারি ৩০, ২০২১
০৮:২৪ অপরাহ্ন



বেড়েই চলেছে চালের দাম

শীত মৌসুমে বাজারে পর্যাপ্ত সবজির সরবরাহ রয়েছে। তাই দামেও রয়েছে স্বস্তি। দাম কমেছে তিন সংখ্যার ঘরে বন্দি থাকা টমেটোরও। পেঁয়াজের দাম এখন নাগালের মধ্যে। কিন্তু লাফিয়ে বাড়ছে চালের দাম। এক সপ্তাহে বস্তাপ্রতি চালের দাম বেড়েছে ৫০ টাকা পর্যন্ত। গতকাল শুক্রবার সিলেট নগরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।

নগরের কালীঘাট এলাকার পাইকারি চালের আড়ৎ ঘুরে দেখা যায়, মুক্তাশাইল চাল পঞ্চাশ কেজির বস্তায় ৫০ টাকা বেড়ে ১ হাজার ৭৫০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহেও ছিল  ১ হাজার ৭৫০ টাকা। আশুগঞ্জি সুপার চাল বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৬৫০ টাকা থেকে ২ হাজার ৭৫০ টাকায়। তবে স্থিতিশীল আছে কাটারিভোগ, মালা ঊনত্রিশ ও আটাশের দাম। কাটারিভোগ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৯৫০ টাকা থেকে ৩ হাজার ৫০টায়, ঊনত্রিশ মালা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৩৫০ থেকে ২ হাজার ৪৩০টায়, আটাশ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৫০টাকা প্রতি বস্তা। 

বাজারে নতুন এসেছে স্বর্না আতব। যা বস্তাপ্রতি ২ হাজার ৩০ থেকে ২ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভারতীয় স্বর্না সেদ্ধ চাল বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ১৫০ থেকে ২ হাজার ২০০ টাকায়।  

নগরের চৌকিদেখি, আম্বরখানা, লালদিঘিরপাড় ঘুরে দেখা যায়, সবজির দাম গত দুই সপ্তাহের মতোই অপরিবর্তিত রয়েছে। শিম প্রতি কেজি ১২ টাকা, বেগুন ১০ টাকা, কাঁচা মরিচ আগের চেয়ে কমে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত ১০ দিন আগেও ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর বাঁধাকপি প্রতিটি ১৫ টাকা, ফুলকপি প্রতি কেজি ১৫ টাকা, টমেটো ১২ টাকা, ওলকপি (শালগম) ৮ থেকে ১০ টাকা, মূলা ৮ টাকা, ধনেপাতা ২০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।

তেলের দামও অপরিবর্তিত রয়েছে। ৫ লিটার বোতলজাত তেল ৫৮৫ থেকে ৬১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে পেঁয়াজের দাম আরও কমেছে। কালীঘাটে পাইকারি বাজারে দেশি পেঁয়াজ ১৮ থেকে ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গত ১০ দিন আগে সর্বোচ্চ ৩০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছিল। ভারতীয় পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি কম বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

নগরের লালদিঘির পাড় এলাকার সবজি বিক্রেতা মো. মোজাম্মেল বলেন, ‘অনেক সবজির দাম কিছুটা কমেছে। দেশি টমেটো, ধনেপাতা ও মরিচ এখন ক্রেতার নাগালের মধ্যে। তবে ভারতীয় আদার দাম আগের মতোই ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যদিও দেশি আদা মিলছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়।

প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, বকরির মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা, মহিষ ৫৫০ থেকে ৫৮০ টাকা প্রতি কেজি। প্রতি কেজি শিং মাছ বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৪৫০ টাকায়, রুই মাছ ৩৫০ টাকা, মাগুর ৬০০ টাকা, ইলিশ ৮৫০ থেকে দেড় হাজার টাকা, চিংড়ি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, বোয়াল মাছ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, টেংরা মাছ ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়, কৈ মাছ ১৫০ থেকে ৭০০ টাকা ও কোরাল ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শামসুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘দাম কম থাকায় সবজিতে স্বস্তি পাচ্ছি। কিন্তু তেলের দাম তো বেড়েছে। বড় মাছের দাম কেজিতে বেড়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা।’

জানতে চাইলে সিলেট জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (গণমাধ্যম সেল) শাম্মা লাবিবা অর্ণব বলেন, ‘জেলা প্রশাসন থেকে নিয়মিত বাজার তদারকি হচ্ছে।’ এখন তদারকি আরও বাড়ানো হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

আরসি-০৭