শতভাগ পাশে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেলেন দেড় লক্ষাধিক

নিজস্ব প্রতিবেদক


জানুয়ারি ৩০, ২০২১
০৭:৪৬ অপরাহ্ন


আপডেট : জানুয়ারি ৩১, ২০২১
১২:৫৬ পূর্বাহ্ন



শতভাগ পাশে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেলেন দেড় লক্ষাধিক

করোনায় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বাতিল করে জেএসসি-এসএসসির গড় ফলের ভিত্তিতে এইচএসসির ফল মূল্যায়ন করা হয়েছে। এতে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছেন। ফলের সর্বোচ্চ গ্রেড জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ জন শিক্ষার্থী। জিপিএ-৫ এর শতকরা হার ১১.৮৩ শতাংশ। যা গত বছর ছিল ৩.৫৪ শতাংশ।

৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছেন এক লাখ ৫৩ হাজার ৬১৪ জন। মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে আলিমে পেয়েছেন ৪ হাজার ৪৮ জন এবং কারিগরি বোর্ডের অধীনে এইচএসসি, এইচএসসি (ভোকেশনাল/বিএম) জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪ হাজার ১৪৫  জন।

শনিবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ফলের সারসংক্ষেপ তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এসব তথ্য জানান।

ফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গড়ে ফলের গত বছরের তুলনায় এবার জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা তিনগুনের বেশি বেড়েছে। ২০১৯ সালে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৪১ হাজার ৮০৭ জন। এবার গড় ফলে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা এক লাখ ১ হাজার ৮০৭ জন। এতে ৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডে এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ৫১ হাজার ৪০৭ জন। 

এর মধ্যে বরিশাল শিক্ষাবোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছেন  ৫ হাজার ৫৬৮ জন, রাজশাহীতে ২৬ হাজার ৫৬৮, ঢকায় ৫৭ হাজার ৯২৬, চট্টগ্রামে ১২ হাজার ১৪৩, দিনাজপুরে ১৪ হাজার ৮৭১, ময়মনসিংহে ১০ হাজার ৪০, কুমিল্লায় ৯ হাজার ৩৬৪, সিলেটে ৪ হাজার ২৪২ এবং যশোরে ১২ হাজার ৮৯২ জন। এছাড়া মাদ্রাসা বোর্ডে ৪ হাজার ৪৮ এবং কারিগরিতে ৪ হাজার ১৪৫ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন।

এর আগে শিক্ষামন্ত্রী সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, কেউ যেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভীড় না করেন। আমরা কোনোভাবে ঝুঁকি নিতে চাই না।  

এরপর প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার কাছে ভার্চ্যুয়ালি ফলাফলের অনুলিপি তুলে দেন শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানরা। প্রধানমন্ত্রীর গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ অনুলিপি গ্রহণ করেন।

গত বছর ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে গড় পাসের হার ছিল ৬৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ। এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ২৫ হাজার ৫৬২ জন। অন্যদিকে, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮৮ দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২ হাজার ২৪৩ জন। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি (বিএম) পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮২ দশমিক ৬২ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৩ হাজার ২৩৬ জন।

ফলাফলের অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন। অনুষ্ঠানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ গোলাম মো. ফারুকসহ দেশের শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে করোনার কারণে এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে এবার পরীক্ষায় অংশ নিতে যারা ফরম পূরণ করেছেন সবাই এইচএসসি পাসের সনদ পাবে। শুধু তাই নয়, ২০১৯ সালে এইচএসসিতে ফেল করে আবার পরীক্ষা নিতে ফরম পূরণ করেছিল তারাও পরীক্ষা ছাড়া সনদ পাবে।

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলের দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এবার ফলাফল অনলাইনে প্রকাশ হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা পরীক্ষার কেন্দ্র ফলাফলের হার্ডকপি পাঠানো হবে না বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে। তাই কোনো অবস্থাতেই ফলাফল প্রকাশের দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জমায়েত হওয়া যাবে না। যারা মুঠোফোনের খুদেবার্তার মাধ্যমে ফলাফল পেতে ইচ্ছুক তাদেরকে ফলাফল প্রকাশের আগেই প্রি-রেজিস্ট্রেশন করতে হবে: HSC< >Board name (First 3 letter) <> Roll<>  2020 টাইপ করে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফল প্রকাশের সাথে সাথেই প্রি-রেজিস্ট্রেশনকৃত পরীক্ষার্থীদের মোবাইল নম্বরে তাদের ফলাফল পৌঁছে যাবে।

এছাড়াও ওয়েবসাইট www.educationboardresults.gov.bd থেকে ফলাফল দেখা যাবে। সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকেও ফল জানা যাবে।

আরসি-০৪