মামলা দিয়ে সাবেক ইউপি মেম্বারকে হয়রানির অভিযোগ

সিলেট মিরর ডেস্ক


জানুয়ারি ২৮, ২০২১
০৭:৫৪ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জানুয়ারি ২৮, ২০২১
০৭:৫৪ পূর্বাহ্ন



মামলা দিয়ে সাবেক ইউপি মেম্বারকে হয়রানির অভিযোগ
সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন

জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আর্থিক ও সামাজিকভাবে ক্ষতি করার জন্য মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ করেছেন কানাইঘাটের লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য আলাউদ্দিন আহমদ। গতকাল বুধবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচিত ইউপি সদস্য ছিলাম। ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে এলাকাবাসীর অকুণ্ঠ সমর্থনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ২য় স্থান অর্জন করি। একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে এলাকার যে কোন সমস্যা বা গ্রাম্য সালিশ-বৈঠকে ন্যায়ের পক্ষে কথা বলে থাকি। এসব কারণে এলাকার এরালিগুলের আব্দুর রব, নাজিম উদ্দিন ও নারায়ণপুরের মোস্তাক আহমদের ঈর্ষার শিকার হচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘জনপ্রিয়তা ঈর্ষান্বিত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে আমার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র চলছে। আমাকে আর্থিক ও সামাজিকভাবে ঘায়েল করার জন্য আমার পরিবারের লোকজন, আত্মীয়-স্বজন ও শুভাকাঙ্খীদেরকে বিভিন্ন হামলা-মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে।’

আলাউদ্দিন জানান, গত বছরের ৬ নভেম্বর রাত সাড়ে ১০ টার দিকে এরালিগুলের নজরুল ইসলাম ওরফে নজই মিয়াকে লোহাজুরী-মিকিরপাড়া রাস্তায় কুটন মিয়ার বাড়ির পাশে খুন করা হয়। খুন হওয়া নজরুল ইসলাম স্থানীয় আব্দুর রবের খালু। ঘটনার দুইদিন পর নিহত নজরুল ইসলামের ছেলে দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে কানাইঘাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার এজহারে তিনি বলেছেন, তাদের বাড়ির জায়গাসহ জমি-জমা নিয়ে তার আপন চাচা নুরুল ইসলাম ও শফিকুল হকদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। এই বিরোধের জের ধরে তার বাবাকে খুন করেছেন তার চাচা ও চাচাতো ভাইয়েরা।

তিনি আরও জানান, হত্যা মামলায় আপন চাচা নুরুল ইসলামকে প্রধান আসামি করা হয়েছে এবং অপর চাচা শফিকুল হককে ১৩ নম্বর আসামি করা হয়েছে। এছাড়া শফিকুল হকের ছেলে শরিফ উদ্দিন, আলাউদ্দিন, আশিক উদ্দিন ও শহিদ উদ্দিনকে আসামি করা হয়েছে। কিন্তু, আলাউদ্দিনের ছেলে ও এলাকার কয়েকজন যুবককে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আসামি করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘আব্দুর রব, মোস্তাক আহমদ ও নাজিমদের যোগসাজসে প্রতিহিংসাপরায়ন হয়ে আমার ছেলে জুনেদ আহমদ, মিকিরপাড়ার কালা মিয়ার ৪ ছেলে সেলিম, শাহীন, মাহিন ও আব্দুল কাইয়ুম এবং মৃত আলাউর রহমানের ছেলে মাওলানা ফখর উদ্দিনকে আসামি করেছে। নজরুল ইসলাম যেদিন খুন হয়েছিলেন ওই দিন আমাদের এলাকায় জামেয়া ইসলামিয়া মিফতাহুল উলুম লোহাজুরী মাদ্রাসায় ওয়াজ মাহফিল ছিল। ঘটনার সময় আমার ছেলে জুনেদ মিকিরপাড়ার সেলিম, আইনুল হক, এরালিগুলের সালেহ আহমদ ওয়াজ মাহফিলে উপস্থিত ছিল। যা মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ একটি অবগতি পত্র দিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘তাদের ভয়ে এলাকার কোন মানুষ মুখ খুলতে সাহস পায় না। সীমান্তবর্তী দুর্গম পাহাড়ী এলাকা হওয়ায় এসব দুুষ্টু প্রকৃতির লোকজন তাদের অপরাধ কর্মকাণ্ডের নিরাপদ আস্তানা প্রতিষ্ঠা করার জন্য এলাকার নিরীহ মানুষকে নানাভাবে হয়রানি করে থাকে। এ বিষয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন মহল বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।’

আরসি-০৬